289978

অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ওসি!

নিউজ ডেস্ক।। ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফি হত্যার ঘটনায় সমালোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দুতে আছেন সেই সময়ের সোনাগাজী মডেল থানা পুলিশের ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষ সিরাজউদ্দৌলা শ্রেণিকক্ষে নিয়ে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে দুজনকে থানায় নিয়ে যান ওসি মোয়াজ্জেম হোসেন। এ সময় আইনবহির্ভূতভাবে ওসি নুসরাতের জেরা করতে করতেই নুসরাতের বক্তব্য ভিডিও করেন। ওই ভিডিওটি বৃহস্পতিবার সোনাগাজীর আলো নামে একটি ফেসবুক পেজে ওই ভিডিওটি শেয়ার করে।

এরপর ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়। ভিডিওটির ক্যাপশনে লেখা ছিল- গত ২৭ মার্চ শ্লীলতাহানির চেষ্টার পর থানায় পুরো ঘটনা নিজ মুখে বর্ণনা করেছেন নুসরাত (ভিডিও)। ভিডিওতে দুই পুরুষের কণ্ঠ শোনা গেলেও সেখানে নুসরাত ছাড়া অন্য কোনো নারী বা তার আইনজীবী ছিলেন না। ওই ভিডিওটি প্রকাশ হলে অধ্যক্ষ ও তার সহযোগীদের সঙ্গে ওসির সখ্যতার বিষয়টি স্পষ্ট হয়। ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, যৌন নিপীড়নের ঘটনাকে ‘নাটক’ ও পরবর্তীতে অগ্নিদগ্ধের ঘটনাকে ‘আত্মহত্যার’ রূপ দিতে মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

এছাড়া দুটি ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজউদৌলাসহ তার সহযোগীদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এ ধরনের আরও অসংখ্য অভিযোগে ১০ এপ্রিল বুধবার সোনাগাজী মডেল থানা থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।  এছাড়া সেই ওসি মোয়াজ্জেমের বিরুদ্ধে এর আগেও বিভিন্ন অভিযোগ ছিল। ২০১৪ সালের ১২ নভেম্বর ছাগলনাইয়া থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয় ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে।

সেখানে ঘুষ কেলেঙ্কারি, স্বর্ণ চুরি, মামলার আলামত চুরি করে বিক্রি করে দেয়া, সন্ত্রাসীদের মদদ দেয়া, টোকেন দিয়ে নম্বরবিহীন সিএনজি অটোরিকশা থেকে মাসোয়ারা আদায়, ভুয়া মামলা দিয়ে অর্থ আদায়, নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর হামলা, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের চাঁদাবাজি এমন অসংখ্য অভিযোগে তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

তারও আগে ফেনী মডেল থানা থেকে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির সঙ্গে সখ্যতার অভিযোগে তাকে ওই থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে নানা মহলে গুঞ্জন উঠেছে নুসরাতের জেরা করার সময় ভিডিও করা কতটুকু আইনসম্মত। এ বিষয়ে আইনজীবীরা বলছেন, যৌন হয়রানির অভিযোগ করার সময় ওসির ভিডিও ধারণের ঘটনায় ওসির বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা করার সুযোগ রয়েছে নুসরাতের পরিবারের।

ওসির এ ধরনের আচরণের বিষয়ে পুলিশ কর্তৃপক্ষ বলছে, আইন না মেনে অভিযোগ করতে যাওয়া কারোর ভিডিও করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সুযোগ আছে। সূত্র : যুগান্তর

ad

পাঠকের মতামত