এই ৭ বিষয়ে সাবধান থাকুন ভালোবাসা দিবসে!
নিউজ ডেস্ক।। আসছে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস। মাঝে মাত্র একদিন। গোটা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও তরুণ-তরুণীরা, প্রেমিক-প্রেমিকারা এই দিনটিকে নিজেদের সম্পর্কের স্বীকৃতির দিন বলে পালন করে। দিনটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হলেও ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসাও যেন পায় নতুন রূপ।এই দিবস নিয়ে নতুন করে খুব যে কিছু বলার আছে তা নয়। নব্য যুবক-যুবতীদের কাছে বসন্ত পঞ্চমী তিথির মূল আকর্ষণটি যে কী, তা সবাই জানেন। তবে হ্যাঁ, এই ভালোবাসা দিবসে কিছু সাবধানতা মেনে চলা উচিত। আসুন জেনে নিন সাবধানতাগুলো কি কি…
১. ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় গিফট নিয়ে যেতে ভুলবেন না। সেটা ছোট হউক বা বড় হউক। কারণ, সবাই তার প্রিয়জনের কাছে থেকে বিশেষ দিবসে গিফট পেতে পছন্দ করে।
২. চোখাচোখি থেকে বিষয়টা কথাবার্তা পর্যন্ত এগোতেই পারে কিন্তু দুম করে কখনোই নয়। আপনি হয়তো খুবই স্পষ্টবাদী, মনের কথা খুব বেশিক্ষণ চেপে রাখতে পারেন না, কিন্তু সময় নিতে হবে। দেখাদেখি হলো বাকিটা খোঁজ-খবর করে রাখুন, পরে যোগাযোগ করুন। কিন্তু যদি উল্টোদিক থেকে খুব একটা আগ্রহ না থাকে, তবে সেই তিনি ভাবতে পারেন যে, এটা নেহাত ‘ছকবাজি’, প্রেমে পড়া নয়।
৩. প্রথম মৌখিক আলাপটা বন্ধুবান্ধবদের উপস্থিতিতেই করা ভাল। তাতে অন্য পক্ষ বেশ স্বস্তিতে থাকবেন। তবে একা কোনো মেয়ের সঙ্গে আবার আপনার দলবল নিয়ে কথা বলতে যাবেন না। কিশোরী-তরুণীরা ভয় পেয়ে যাবেন। সবচেয়ে ভাল হল, দু’দলের মধ্যে যৌথ আলাপ চারিতা। তার পরে না হয়, একান্তে কথা বলা যাবে। তবে অবশ্যই নৈতিকতার দিকে খেয়াল রাখা জরুরি।
৪. আলাপ হওয়া মাত্র ঝটপট সেলফি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করবেন না। ওটা হলো ‘আদেখলাপনা’। সেলফি বা ছবি তুলতে বাধা নেই কিন্তু আপলোড করতে সময় নিন। নিজের আত্মসম্মান বজায় রাখুন।
৫. ভালোবাসা দিবসে আবেগে পড়ে হঠাৎ করেই প্রিয়জনের কাছে যে কোন ধরনের প্রতিশ্রুতি দিবেন না। কারণ, প্রতিশ্রুতি ভালোবাসার ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।
৬. একটি সিরিয়াস সতর্কবার্তা; বিশেষ করে মেয়েদের জন্য- যদি ইচ্ছার বিরুদ্ধে কেউ জোর করে ছবি বা ভিডিও করতে যায়, তার দিকে লক্ষ রাখুন। খারাপ উদ্দেশ্য চোখে পড়লে তাকে উচিত শিক্ষা দিতে একটুও দেরি করবেন না! ভালো লাগার মানুষকে সুন্দরভাবে দেখা এক জিনিস আর তাকে বিকৃত মানসিকতা থেকে ‘ভোগ’ করতে চাওয়ার ইচ্ছা আর এক!
৭. পকেটের অবস্থা বুঝে রেস্টুরেন্টে প্রবেশ করুন। সেই সঙ্গে খাবারের দামটা জেনে নিন। কারণ এই দিবসগুলোতে খাবারের দোকানিরা হঠাৎ করেই খাবারের মূল্য বেশি করে দেন।
