251454

চোখ উঠলে আপনার করণীয়

চোখ ওঠা (Conjunctivitis) হচ্ছে চোখের ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। প্রচলিত কথায় চোখ ওঠা বলতে চোখ লাল হওয়া বোঝানো হয়ে থাকে। তবে চোখ লাল হওয়া একটি উপসর্গমাত্র। বিভিন্ন কারণে চোখ লাল হতে পারে। যেমন জীবাণুর মাধ্যমে চোখ আক্রান্ত হলে, এডিনো ভাইরাসজনিত কারণে, হারপিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসজনিত কারণে, স্কেলেরার ইনফেকশনজনিত কারণে, ইউভিয়াল টিস্যু ইনফেকশনজনিত কারণ ইত্যাদি। ভাইরাস কেরাটাইটিস বা হার্পিস সিমপ্লেক্স ভাইরাসজনিত ইনফেকশন মূলত ভাইরাসজনিত ইনফেকশন। এ ধরনের ইনফেকশনে সাধারণত এক চোখ আক্রান্ত হয়ে থাকে। এ রোগের লক্ষণ হলো চোখে জ্বালাপোড়া করে, চোখের ভেতর অস্বস্তি শুরু হয়ে থাকে এবং সামান্য ব্যথা হয়।

রোদ বা আলোর দিকে তাকাতে ভীষণ কষ্ট হয় ও অতিমাত্রায় পানি পড়ে। চোখ লাল হয়ে ফুলে ওঠে। ঘুম থেকে ওঠার পর চোখের পাতা দুটি একত্রে লেগে থাকে। চোখ থেকে শ্লেষ্মা জাতীয় পদার্থ বের হতে থাকে এবং হলুদ রঙের পুঁজ সৃষ্টি হয়।
সাধারণত ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে উপসর্গগুলো কমে আসে। তবে দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। মণি বা কর্নিয়ায় সাদা দাগ পড়ে যায়। খালি চোখে দেখে বোঝা যায় না। এতগুলো উপসর্গ রোগীর ক্ষেত্রে এক সঙ্গে দেখা নাও যেতে পারে।
এটি একটি জটিল রোগ। দেরি করে চিকিৎসা করালে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয়ে ওঠে না। তবে প্রাথমিক অবস্থায় চিকিৎসা নিলে খুব সহজেই সেরে যায়। এ ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন উচিত।

এ সময় যে ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করা সবেচেয়ে বেশি জরুরি তা হলো ধুলাবালি, আগুন, আলো ও রোদে কম যেতে হবে। ময়লা-আবর্জনাযুক্ত স্যাঁতসেঁতে জায়গায় মোটেও যাওয়া যাবে না। পুকুর বা নদী-নালায় এ সময় গোসল করা যাবে না। চোখে কালো চশমা ব্যবহার করতে হবে। টিভি না দেখাই উত্তম। সম্ভব হলে ১০ থেকে ১৫ দিন সম্পূর্ণ বিশ্রাম নেওয়া এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শমতো চলাফেরা ও ওষুধ সেবন করা। ডা. মো. ছায়েদুল হক, চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ও সার্জন। উৎস: দৈনিক আমাদের সময়।

ad

পাঠকের মতামত