251520

আরো রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠানোর পাঁয়তারা সৌদির

বাংলাদেশে নতুন করে আরো ২৫০ জন রোহিঙ্গাকে ফেরত পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে সৌদি আরব। চলতি বছরের প্রথম মাসেই এ নিয়ে দ্বিতীয়বার স্থানীয় বন্দিশালায় থাকা রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাচ্ছে দেশটি। রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্টদের একটি গ্রুপ কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরাকে এই তথ্য জানিয়েছেন।রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের প্রচারণা সমন্বয়কারী নে সন লুইনের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, সৌদি আরবে আনুমানিক তিন লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। তিনি জোরপূর্বক এই প্রত্যর্পণ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

নে সন লুইন আল জাজিরাকে বলেন, ‘এই রোহিঙ্গাদের অধিকাংশেরই সৌদিতে বসবাসের অনুমতি আছে। তারা বৈধভাবে দেশটিতে বসবাস করতে পারেন। কিন্তু জেদ্দার সুমায়সি বন্দিশালায় আটক এইসব রোহিঙ্গাদের সঙ্গে খুব ভয়াবহ নির্যাতন চালানো হচ্ছে। তাদেরকে সৌদিতে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।’নে সন লুইনের হাতে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, সৌদিতে বসবাসকারী বেশিরভাগ রোহিঙ্গা অনেক আগেই দেশটিতে গেছেন। তাদের রোববার থেকে জেদ্দা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার কাজ চলছে। সেখান থেকে বিমানে করে তাদের ঢাকায় পাঠানো হবে। রোববার দিনের শেষভাগে অথবা সোমবার সকালে তাদেরকে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

তিনি আরও জানান, সৌদিতে থাকা অনেক রোহিঙ্গা বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত ও নেপালের ভুয়া পাসপোর্ট দেখিয়ে দেশটিতে প্রবেশ করেন।গত বছরের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ‘মিডল ইস্ট আই’ পত্রিকা জানায়, কোনো অভিযোগ ছাড়াই সৌদি আরবে বেশ কয়েক বছর ধরে আটক রাখা হয়েছে কয়েকশ রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশুদের। এদের বেশিরভাগ ২০১১ সালের পর মিয়ানমারের নিপীড়ন এড়াতে ও জীবিকার তাগিদে তেল সমৃদ্ধ দেশটিতে পৌঁছায় ভুয়া পাসপোর্ট নিয়ে।ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ইতোমধ্যে সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গা পাঠানো শুরু হয়ে গেছে বলে জানান দেশটিতে আটক রোহিঙ্গারা। তারা জানান প্রতিদিন ৫ থেকে ১০ জন রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে।

সর্বশেষ ৭ জানুয়ারি সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ পাঠানো হয়েছে ১৩ রোহিঙ্গাকে। ওই দিন রাত ২টার দিকে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি ৮০২ ফ্লাইটে তারা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। পরে তাদেরকে ইমিগ্রেশন পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। সূত্র: আল জাজিরা

ad

পাঠকের মতামত