249971

একটি শিক্ষামূলক পোস্ট, শালী মারা যাওয়ার পর লাশের …

শালী মারা যাওয়ার পর লাশের চার পাশে মহিলারা কুরআন তেলাওয়াত করতেছে। এমন সময় তার দুলাভাই এসে দাবি করল,”আমি আমার শালীকে শেষ গোসলটা করাইতে চাই!এই ক থা শুনে আশে পাশের মানুষ হামলে পড়ল, তারা দুলা ভাইকে বুঝিয়ে দিল, ফতোয়া কত প্রকার কি কি? একজন তো হেব্বি গরম হয়ে বলেই ফেলল, “মরার পরে শালীকার মুখ দেখাও নাজায়েয, আর তুই গোসল করাইতে চাস মানে!?”

এইবার দুলাভাই বলা শুরু করল, আমার শালীকা যখন জীবিত ছিলো, তখন কতবার হাত চেপে ধরছে ৫০০ টাকার জন্য, গলা জড়িয়ে ধরছে মেলায় যাওয়ার জন্য, আমার মটর সাইকেলের পিছনে উঠার জন্য, কত কি যে করেছে! তখন সবই জায়েজ ছিলো, আর মরার সাথে সাথে মুখ দেখাও নাজায়েজ হয়ে গেল?এতদিন কোথায় ছিল আপনাদের ফতোয়া??

তখন একজন বুঝিয়ে দিল, মৃত অবস্থার তুলনায় জীবিত থাকা অবস্থাতেই দুলা ভাইয়ের সামনে পর্দা মেইনটেইন করা অনেক বেশি জরুরী ছিল। দুনিয়াতে জীবিত থাকা অবস্থায় তার জন্য পর্দা করা ফরজ ছিল। কিন্তু আজ যদি আপনি তার কাফনের ৫ টুকরা কাপড়ের উপরে আরও ৬ টুকরা এক্সট্রা কাপড় দিয়ে ঢেকে দেন, তাতে কোনো লাভ হবেনা।

আর মরা মানুষকে কুরআন তেলোয়াত শুনিয়ে লাভ কি? জীবিত থাকতে কেউ যদি কুরআন মেনে চলতে না পারে, তাহলে মরার পরে কুরআনকে তাবিজ বানিয়ে তার কবরে পাঠিয়ে দিলেও বিন্দু পরিমাণ লাভ হবে না।আল কোরআন মরা মানুষের জন্য নাযিল হয় নাই! আল কোরআন নাযিল হয়েছে আমরা যারা জীবিত আছি তাদের হেদায়াতের জ ন্য। আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক ভাবে দ্বীন বুঝার তৌফিক দান করুন — আমিন! উৎস: অনলাইন।

ad

পাঠকের মতামত