পাইলটের বুকের পাটার জোরে বেঁচে গেল ৭২ জনের প্রাণ, দেখুন ভিডিওটি…
ভিডিওটি দেখলে টেনশনে নোখ কামড়াবেনই। এ যেন থ্রিলার সিনেমার মতো! এই বুঝি কী হয় কী হয়। আমস্টারডামে স্কিপল বিমানবন্দরে এমনই ঘটনা ঘটল। শুধু বিমান চালকের দুঃসাহসিক বুকের পাটা থাকায় এ যাত্রা রক্ষে পেল বিমানটি। এর সঙ্গে বিমানকর্মী-সহ ৭৮ জনেরও প্রাণ বাঁচে। কী হয়েছিল?
বেশ কয়েক দিন ধরে ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত নেদারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড-সহ বিভিন্ন এলাকা। এদিন আমস্টারডামে ঘণ্টায় ৭০ মাইল বেগে ঝড় বইছিল। ওই প্রবল ঝড়ের মধ্যেই ইউরোউইংসের একটি বিমান অবতরণের চেষ্টা করে। কিন্তু দস্যু ঝড়ের মুখোমুখি কীভাবে সামাল দেবেন চালক! ভিডিওটি দেখতে গিয়ে যখন আপনার এই প্রশ্ন মনে হবে, ততক্ষণে ‘কুল মস্তিষ্কে’ চালক ভেবে নিয়েছেন অবতরণের পথটি। যেভাবে রুদ্ধশ্বাস মুহূর্তে জয় ছিনিয়ে আনেন আমাদের মাহি, ঠিক তেমনই ‘ক্রসউইন্ড ল্যান্ডিং’-এ বিমানকে অবতরণ করালেন।
বিমান প্রশিক্ষণের সময় ঝোড়ো হাওয়াকে পাশ কাটিয়ে কীভাবে নামতে হয়, তা শেখানো হয়। একেই বলে ‘ক্রসউইন্ড ল্যান্ডিং।’ এর পাশাপাশি ‘ক্রাব ল্যান্ডিং’ পদ্ধতিতে রানওয়েকে ব্যবহার করেন ওই বিমানের চালক। প্রসঙ্গত, জার্মান দ্বীপ সিল্ট থেকে আমস্টারডামে পৌঁছয় বিমানটি।
অন্যরা যা পড়ছেন….
নুসরাত ফারিয়া একা হয়ে পড়ছেন!
শুটিং-ডাবিং ফেলে আবার পড়াশোনায় মন দিচ্ছেন! তাই এবার বিরতিতে যাচ্ছেন দুই-বাংলার আলোচিত নায়িকা নুসরাত ফারিয়া। ‘আপাতত কোনো কাজ নয়’-নুসরাত ফারিয়ার বরাত দিয়ে ঠিকই এরকমই একটা প্রতিবেদন ছাপিয়েছে দৈনিক সমকালের অনলাইন সংস্করণ। সেখানে নুসরাত ফারিয়া বলেছেন, ‘বেশ কিছু প্রোজেক্ট নিয়ে কথাবার্তা চললেও, ফাইনাল না হওয়ায় এখনই শেয়ার করতে চাই না। আপাতত পড়াশোনায় মন দেব। এলএলবির সেকেন্ড ইয়ার চলছে আমার।’
একই ধরনের আভাস পাওয়া গেলো ভারতীয় বাংলা পত্রিকা আনন্দবাজার-এ। শুক্রবার ফারিয়ার ‘ইনস্পেক্টর নটি কে’ মুক্তি পাওয়ায় পত্রিকাটি ফারিয়ার একটি প্রতিবেদন করেছে। ফারিয়ার বক্তব্য থেকে প্রতিবেদনটির শিরোনাম করা হয়েছে, ‘ফাঁকা মাঠে গোল দিয়ে মজা নেই।’
বক্তব্য ভিন্ন ভিন্ন হলেও আপাতত অভিনয় থেকে ছুটি নিচ্ছেন ফারিয়া- অনেকটা ষ্পষ্ট করেই বলে দিয়েছে প্রতিবেদন দুটি। কিন্তু হঠাৎ করে ফারিয়ার মুখে সিনেমা থেকে পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার কথা শুনে দেশীয় চলচ্চিত্রে বেশ একটা কানাঘুষা চলছে। সেইসঙ্গে রসালো মন্তব্য আর মনগড়া মন্তব্যও চলছে বেশ জোরে-শোরে। একদল বলছে, ফাঁকা মাঠেও ফারিয়া গোল দিতে পারেননি। তাই নির্মাতারা তাকে আর মাঠে রাখতে চাচ্ছেন না- আঁচ করতে পেরে উল্টো সুর তুলছেন ফারিয়া।
অন্য আরেকদল দল বলছে, ফারিয়ার দিন শেষ। শেষপর্যন্ত খোলামেলা হয়েও মাঠে টিকে থাকতে পারছেন না। আজ মুক্তি পাওয়া ‘ইনস্পেক্টর নটি কে’ সিনেমাটি নিয়ে অনেক আশা ছিল ফারিয়ার। কিন্তু সিনেমাটির ফলাফল ভাল না হওয়ায় সেই আশারও গুড়েবালি ফারিয়ার। তাই তো ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে পড়াশোনার অজুহাত দেখিয়ে আখের গোছানোর চিন্তা-ভাবনা করছেন তিনি।
এদিকে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নিয়ে নতুন নীতিমালা গঠন এবং জাজ ফারিয়াকে বাইরে রেখেই নতুন হিসাব-নিকাশ করছে ফারিয়ার উৎপত্তি এবং একমাত্র আশ্রয়স্থল জাজ মাল্টিমিডিয়া। আর জাজ ছাড়া এপার কিংবা ওপার- কোনো বাংলার সিনেমাতেই গ্রহণযোগ্যতা এমনকি শখ্যতা অর্জন করতে পারেননি। ক্রমশ একা হয়ে পড়ছেন ফারিয়া।
তাছাড়া কদিন আগেও যেখানে নতুন বছরের প্রত্যশা নিয়ে সংবাদমাধ্যম-গুলোতে ফারিয়া বলেছিলেন- ‘বছর জুড়েই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবো। অনেকগুলো সিনেমার ব্যাপারে কথা হচ্ছে, বেছে বেছে ভাল কাজগুলো হাতে নেবো। চলচ্চিত্র ছাড়া অন্য কোনো কিছু মাথায় আনবো না।’
সেখানে মাত্র ক’দিনের ব্যবধানেই হঠাৎ করে ফারিয়া কেন নিজের প্রতিশ্রুতি ভুলে পড়াশোনায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন? নাকি পড়াশোনার কথাটা মাথাতেই ছিল না তখন! এমন অসংখ্য প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সিনেমাপাড়ার বাতাসে।