192921

ধর্ষণের শিকার গৃহকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রাণভয়ে

গোপালগঞ্জে ধর্ষণের শিকার আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহকর্মী (১৯) এখন প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সামাজিক অসহযোগিতা ও ধর্ষকদের হুমকিতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে তার জীবন।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামের বাদশা শেখের ছেলে সেলিম (৩৫), মোমরেজ দাড়িয়ার ছেলে মিরাজ দাড়িয়া (৫০) ও ধর্ষণে সহায়তাকারী সেতু বেগমকে (২৫) আসামি করে সম্প্রতি গোপালগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আদালতে একটি নালিশি পিটিশন করেছেন ওই গৃহকর্মী।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ৩ বছর আগে ফরিদপুরের সালথা উপজেলার কামাইদা গ্রামের ওই তরুণী গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানার এসআই কামরুল ইসলামের বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ নেন। দেড় বছর আগে সড়ক দুর্ঘটনায় এসআই কামরুল মারা গেলে তার স্ত্রী সেতু বেগম একমাত্র সন্তান ও গৃহপরিচারিকাকে নিয়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার পুখুরিয়া গ্রামে মামাবাড়িতে চলে যান। সেখানে গত বছরের মার্চে সেতুর সহযোগিতায় ওই গৃহপরিচারিকাকে বাড়ির একটি কক্ষে আটকে ধর্ষণ করে সেলিম। এর কিছুদিন পর সেতুর বাবা সৌদি প্রবাসী মিরাজ দাড়িয়াও তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই গৃহপরিচারিকা অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ তার।

এ ব্যাপারে গৃহপরিচারিকা অভিযোগ করে সমকালকে বলেন, ‘ধর্ষকরা আমাকে নানা রকম হুমকি দিচ্ছে। তাদের ভয়ে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি। তারা জোর করে আমার কাছ থেকে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে।’ এমনকি তার বাবাকেও অভিযুক্তরা ৩ দিন অজ্ঞাত স্থানে আটকে রেখেছিল বলে অভিযোগ ওই গৃহকর্মীর।

অভিযুক্ত সেলিম শেখ অভিযোগ অস্বীকার করে বলে, ‘প্রতিপক্ষ আমাকে হয়রানি করতে মিথ্যা মামলা দিয়েছে।’ তবে কয়েক দফা চেষ্টা করেও সেতু বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে গোপীনাথপুর পুলিশ ফাঁড়ি তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক হযরত আলী বলেন, কোর্টের নির্দেশে আমরা পিটিশনটি এফআইআর করেছি। এখন মামলার তদন্ত কাজ শুরু হয়েছে। উৎস: সমকাল।

ad

পাঠকের মতামত