192287

শনি ও সোমবার সহবাস করলে কি ক্ষতি হয়? দেখুন ইসলাম কি বলে, লজ্জা নয় জানতে হবে!!

শনি ও সোমবার সহবাস করলে কি ক্ষতি হয় সেই বিষয়ে উত্তরঃ বিজ্ঞানে এই সব তথ্যের কোন ভিত্তি নেই। সপ্তাহের ৭ টি দিনই শুভদিন। এই দিন শুভ, অমুক দিন অশুভ, এরকম দ্বিমুখী কথা কেও বলে না। সপ্তাহের ৭টি দিন মহান আল্লাহই সৃষ্টি করেছেন।

সোমবার যদি অশুভ হতো, তাহলে এই দিনে মানবতার মুক্তির দূত বিশ্বনবী মুহাম্মদ (সাঃ) দুনিয়াতে আগমন করতেন না।অর্থাৎ, কোন দিনই অশুভ নয়। তাই, অন্ধতা পরিহার করুণ। সঠিক জ্ঞান অর্জন করুণ। একদল মূর্খরা কি বললো তা বিশ্বাস না করে বরং কোন কিছু জানার প্রয়োজন হলে ভালো একজন আলেমের সাহায্য নিন।

আমাদের সমাজের অনেক মূর্খ আছে, যারা হিন্দুদের মতো বলে এই দিনে এটা করতে নেই, ওটা করে নেই। করলে অনেক ক্ষতি হয়। কিন্তু কি ক্ষতি হয় সেটা বলে না। দাঁড়িয়ে সহবাস করার সম্পর্কে জানতে আমাদের আগের দেওয়া উত্তর টি পড়ুন।আপনার সেক্স জনিত যেকোন প্রশ্ন ও স্বাস্থ্য তথ্যের জানান দিতে আপনার ডক্টর রয়েছে আপনাদের পাশে।

জীবনকে সুস্থ্য, সুন্দর ও সুখময় করার জন্য নিয়মিত ভিজিট করুন আপনার ডক্টর health সাইটে।মনে না থাকলে আপনি সাইট আপনার ব্রাউজারে সেভ করে রাখুন।

অন্যরা যা পড়ছে
স্ত্রীকে চরম সুখ দিতে ইসলামিক নিয়মে সহবাস

আমরা অনেকেই হয়ত ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক সহবাসের স্বাভাবিক নিয়ম বা পন্থা সম্পর্কে জানি না। এখানে এ বিষয়ে একটু ধারণা দেয়া হলো যদিও হাদিস থেকে বিভিন্ন আসনে সহবাস করার দৃষ্টান্ত পাওয়া যায়। তবে সহবাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো এই যে, স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রেও এই স্বাভাবিক পন্থা পরিলক্ষতি হয়। সর্বপরি এ দিকেই অত্যন্ত সুক্ষভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে আল কুরআনে। আয়াতের অর্থ হলোঃ

“যখন স্বামী -স্ত্রীকে ঢেকে ফেললো তখন স্ত্রীর ক্ষীণ গর্ভ সঞ্চার হয়ে গেলো।”
আর স্ত্রী যখন নিচে থাকবে এবং স্বামী তার উপর উপুড় হয়ে থাকবে তখনই স্বামীর শরীর দ্বারা স্ত্রীর শরীর ঢাকা পড়বে। তাছাড়া এ পন্থাই সর্বাধিক আরামদায়ক। এতে স্ত্রীরও কষ্ট সহ্য করতে হয়না এবং গর্ভধারণের জন্যেও তা উপকারী ও সহায়ক। বিখ্যাত চিকিতসা বিজ্ঞানী বু-আলী ইবনে সীনা তার অমর গ্রন্থ “কানুন” নামক বইয়ে এই পন্থাকেই সর্বোত্তম পন্থা হিসেবে উলে­খ করেছেন এবং ‘স্বামী নিচে আর স্ত্রী উপরে’ থাকার পন্থাকে নিকৃষ্ট পন্থা বলেছেন। কেননা এতে পুংলিংগে বীর্য আটকে থেকে দুর্গন্ধ যুক্ত হয়ে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আনন্দঘন মুহুর্তটা পরবর্তিতে বেদনার কারণ হয়ে না দাড়ায়। তাই ইসলামী জীবন বিধান মেনে চলুন আনন্দকে অনন্দ হিসেবে উপভোগ করুন। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে বিধান অনুযায়ী মেনে চলার তৌফিক দান করুন। আমীন। এছাড়াও হযরত আলী (রাযিঃ) তাঁর অসিয়ত নামায় লিখেছেন যে,

সহবাসের ইচ্ছে হলে এই নিয়তে সহবাস করতে হবে যে, আমি ব্যভিচার থেকে দূরে থাকবো। আমার মন এদিক ওদিক ছুটে বেড়াবেনা আর জন্ম নেবে নেককার ও সত সন্তান। এই নিয়তে সহবাস করলে তাতে সওয়াব তো হবেই সাথে সাথে উদ্যেশ্যও পূরণ হবে ইনশাআল্লাহ। *স্বামী-স্ত্রী উভয়ই পাক পবিত্র থাকবে।

*মুস্তাহাব হলো “বিসমিল্লাহ” বলে সহবাস শুরু করা। ভুলে গেলে যখন বীর্যপাতের পূর্বে মনে মনে পড়ে নেবে।
*সহবাসের পূর্বে সুগন্ধি ব্যবহার করাও আল্লাহর রাসুলের সুন্নত।

*সকল জাতিয় দুর্গন্ধ জাতীয় জিনিস পরিহার করা উচিত। উল্য্যে যে, ধুমপান কিংবা অপরিচ্ছন্ন থাকার কারণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়। আর এতে কামভাব কমে যায়। আগ্রহের স্থান দখল করে নেয় বিতৃষ্ণা।

*কেবলামূখী না হওয়া।
*একেবারে উলঙ্গ হবে না।
*বীর্যপাতের পর ততক্ষণাত বিচ্ছিন্ন হবে না, বরং স্ত্রীর বীর্যপাত হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে।

*বীর্যপাতের সময় মনে মনে নির্ধরিত দোয়া পড়বে। কেননা যদি সে সহবাসে সন্তান জন্ম নেয় তাহলে সে শয়তানের প্রভাব মুক্ত হবে নিয়ত ঠিক করুন।

ad

পাঠকের মতামত