192163

রাত পোহালেই শুরু ‘পুনর্মিলনী সিরিজ’

এই সিরিজকে পুনর্মিলনী সিরিজ বললে একেবারেই ভুল হবে না। এটা কোচদের সঙ্গে ক্রিকেটারদের পুনর্মিলনী। আবার ক্রিকেটারদের সাথে ক্রিকেটারদেরও। কারণটাও সবার জানা। মাঠের লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত তিন দল বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ে আর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা। রাত পোহালেই সোমবার বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের ম্যাচ দিয়েই মাঠে গড়াচ্ছে ত্রিদেশীয় সিরিজ তথা ‘পুনর্মিলনী সিরিজ’। দুপুর ১২টায় শুরু হবে ম্যাচটি।

২০১৪ সালের নভেম্বর থেকেই ওয়ানডেতে দুর্দান্ত এক দল বাংলাদেশ। বিশ্বের বাঘা-বাঘা দলগুলোকে নাকানিচুবানি দিয়ে ক্রিকেট অঙ্গনে নিজেদের শক্তিশালী দলের তকমাটা লাগিয়ে ফেলেছে মাশারাফি বিন মুর্তজার বাংলাদেশ। দ্বিপক্ষীয় সিরিজে পাকিস্তান, ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়ে ও আফগানিস্তানকে হারায় তারা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তাদের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজসহ তিন ফরম্যাটেই ড্রয়ের রেকর্ডও আছে বাংলাদেশের। অবশ্য ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের কাছে সিরিজ হারের তথা হোয়াইটওয়াশের স্বাদ পেয়েছিল টাইগাররা।

তবে সিরিজ জয়-হার ও ড্রয়ের মাঝেও গত বছর ওয়ানডেতে সবচেয়ে বড় সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল মাশরাফি বাহিনী। তবে সর্বশেষ সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে গিয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয় বাংলাদেশ।

তবে এসব এখন অতীত। নতুন বছরে নতুনভাবে সাফল্যের লক্ষ্যে ত্রিদেশীয় সিরিজ শুরু করছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচ থেকেই জয়ের লক্ষ্য বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার, ‘সবার মত আমাদেরও একই প্রত্যাশা। আমরা অবশ্যই জিততে চাই এবং ভালোভাবে জিততে চাই। আমরা ভালো ক্রিকেট খেলতেই মাঠে নামব।’

কুয়াশার কারণে টস বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। তাই সিদ্ধান্ত নিয়ে অধিনায়ক মাশরাফি বলেন, ‘কুয়াশার উপর নির্ভর করছে টসে জিতলে কী করব আমরা। ব্যাটিং নাকি বোলিং করা হবে তা এখনই বলা মুশকিল। বেশি কুয়াশা থাকলে সিদ্ধান্ত একরকম হবে, আর কুয়াশা কম থাকলে অন্যরকম। আসলে এসব নিয়ে না ভেবে নিজেদের কাজটা ভালো ভাবে করাতেই গুরুত্ব দিতে হবে।’

কুয়াশা উইকেটের আচরনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। তবে উইকেট নিয়ে এখনই কিছু বলতে পারছেন না মাশরাফি, ‘উইকেট এখন পর্যন্ত ভালোই আছে। তবে দেখতে হবে ম্যাচের দিন আবহাওয়া কেমন হয়। আবহাওয়ার উপর অনেক কিছু নির্ভর করছে।’

ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ৬৭ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। এরমধ্যে ৩৯টি জিতেছে টাইগাররা। জিম্বাবুয়ের জয় ২৮টি ম্যাচে। সর্বশেষ ২০১৫ সালে তিন ম্যাচের সিরিজে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। ঐ সিরিজটি ৩-০ ব্যবধানে জিতেছিল বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দল: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান, ইমরুল কায়েস, এনামুল হক বিজয়, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ, মুশফিকুর রহিম, সাব্বির রহমান, নাসির হোসেন, মোহাম্মদ মিথুন, মেহেদি হাসান মিরাজ, মুস্তাফিজুর রহমান, আবুল হাসান রাজু, রুবেল হোসেন, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও সানজামুল ইসলাম।

জিম্বাবুয়ে দল: গ্রায়েম ক্রেমার (অধিনায়ক), হ্যামিলটন মাসাকাদজা, সলোমন মির, ক্রেইগ আরভিন, ব্রেন্ডন টেইলর, সিকান্দার রাজা, পিটার মুর, ম্যালকম ওয়ালার, রায়ান মারে, টেন্ডাই চিসোরো, ব্রেন্ডন মাভুতা, ব্লেসিং মুজারাবানি, ক্রিস্টোফার মোফু, টেন্ডাই চাতারা ও কাইল জার্ভিস।

ad

পাঠকের মতামত