186645

সহবাস করলে যেসব উপকার পাওয়া যায়

 

ভালোবাসা প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ন দিক শারীরিক মিলন। আবার শারীরিক প্রয়োজনীয়তার এক প্রকার বহি:প্রকাশ সেক্স্যুাল আ্যক্টিভিটি। কিন্তু আপনি জানেন কি? শারীরিক চাহিদা বা ভালোবাসা প্রকাশের দিক ছাড়াও এর অনেক গুন আছে যার ফলে আপনার ব্যক্তি জীবন আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠতে পারে।

ভালো ব্যায়াম: শারীরিক মিলনের সময় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেভাবে সঞ্চালিত হয় তার মাধ্যমে ব্যয়াম কার্য্য খুব ভালো ভাবে সম্পাদিত হয়। এর দ্বারা ক্যালোরী খুব ভালোভাবে সম্পাদিত হয়। এর দ্বারা প্রচুর ক্যালোরী খরচ হয়, ফলে কোলেস্টরলের মাত্রা কম হয়, রক্ত প্রবাহ ভালো হয়, শারীরি মিলন কার্যে আপনি ৩০ মিনিট লিপ্ত থাকলে আপনার ৮৫ ক্যালোরী খরচ হয়। আপনি এক সপ্তাহে নিয়মিত হাটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরী খরচ হয়, সপ্তাহে নিয়মিত ৩ দিন নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে আপনার সেই পরিমান ক্যালোরী খরচ হবে। সারা বছর নিয়মিত রুপে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হতে পারলে ৭৫ মাইল জগিং করার সমান ক্যালোরী আপনার শরীর থেকে নির্গত হবে।

রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে অর্থাৎ আমাদের ইমুয়্যেন সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে আমাদের শঅরীরিক মিলন প্রক্রিয়া। রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি থেরাপির মত কাজ করে, এর মাধ্যমে পচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সুদৃর হয়।

জীবন কাল বাড়ে: নিয়মিত সেক্সুয়াল অ্যাক্টেভিটি আপনার আয়ু বাড়ায়। এর মাধ্যমে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সব তন্ত্র খুব ভালোভাবে কাজ করে। কারন শারীরিক কার্যকলাপ শরীরের বিভিন্ন কোষের মধ্যে অক্সিজেন মাত্রা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অঙ্গ গুলিকে সচল রাখতে সাহায্য করে। এব দিকে যেভাবে সেক্সুয়্যাল অ্যাক্টিভিটি দ্বারা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে তেমনি কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে। সপ্তাহে তিন বার বা তার থেকে বেশী বার শঅরীরিক মিলন হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।

ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়: বিভিন্ন অধ্যায়নের মাধ্যমে জানা গেছে শারীরিক মিলনের ফলে মাথা এবং হাড়ের জয়েন্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়। অর্গাজমের আগে অক্সিটসিন স্তর সামান্য থেকে ৫ গুন বেড়ে যাওয়ায় এক্সোফিন হরমোন নিংসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিস এর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়। তাই ব্যাথা কমানোর ঔষধ না খেয়ে শারীরিক মিলনের আনন্দ উপভোগ করুন আর ব্যাথা থেকে নি®িকৃতি পান।

পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কম হয়: যে সব মহিলাদের সেক্সুয়াল লাইফ খুব ভালো হয় তাদের পিড়িয়ডের ক্ষেত্রে সমস্যা কম হয়। সাধারনত পিড়িয়ডের সময় মহিলাদের খুব বেশি ব্যাথা হয়ে থাকে। যাদের সেক্সুয়াল লাইফে কোন ধরনের অসুবিধা থাকে না তাদের এই সময় ব্যাথা কম হয়। আর শারীরিক মিলনের দিক ঠিক থাকলে পিড়িয়ডের আগে মহিলাদের মধ্যে অনেক সময় যে সমস্যা দেখা যায় তাও থাকে না।

মানসিক আসক্তি থেকে মুক্তি: মানসিক প্রসান্তি আনার দিক থেকে নিয়মিত শারীরিক মিলনের অভ্যাস সব থেকে ভালো। কারন শারীরিক মিলনের ফলে মন উতফুল্ল থাকে ফলে মানসিক অশান্তি কম হয়।

ভালোবাসা বাড়ে: শারীরিক মিলনে আকর্ষনের ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে খুশী সঞ্চারিত হয়। মনের উদাসিনতা দূর করতে এই কার্যকরিতা ভীষন জরুরী। মানষিক দিক থেকে বিরক্তির নানা কারন শারীরিক মিলনের ফলে দূর হয়ে যায়। এই সান্যিধ্যের ফলে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় এবং দুজনের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে। যে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে শঅরীরিক সম্পর্ক উন্নত মানের তারা তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়লে তার সমাধান এক সঙ্গে করতে পারেন।

কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে: শারীরিক মিলনের সময় হরমন নি:সরন হয় তাই মন সান্ত থাকে আর নিরন্তন কাজের ক্ষমতা বাড়তে থাকে। নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির যৌবন অনেক দিন পর্যন্ত বর্ধমান থাকে। এর মাধ্যমে ফিটনেস লেবেল বাড়ে। শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন স্ফুর্তি অনুভব করে। সারা দিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব দেখা যায়। এর দ্বারা সারা দিনের ক্লান্তি থেকে এবং নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

ভালো ঘুম হয়: শারীরিক মিলনের ফলে অক্সিটোসিন হরমোন রিলিজ হয়, ফলে মিলনের পরে ঘুম খুব ভালো হয়। তাই যাদের ঘুমের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা আছে তারা অতি অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে পারেন।

আত্ম বিশ্বাস বাড়ে: শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির মনে স্বকারাত্মক চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে। তার ভেতরে কার সন্তুষ্টি তার মানষিক প্রশান্তি তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমান বাড়িয়ে তোলে।

ওজন কমে: শারীরিক মিলনের ফলে প্রচুর পরিমা ক্যালোরী খরচ হয়, তার ফলে ব্যক্তির ওজন কম হয়। নিয়মিত ভাবে শঅরীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থুলতা কম হয়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়।

সৌন্দর্য বাড়ে: শারীরিক মিলন কালে হরমন নি:সরনের ফলে রক্ত প্রবাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে তার প্রভাব পরে ত্বকের ওপরে। তার ফলে সৌন্দর্য্য বেড়ে ওঠে। অন্নার সারা শরীরের মাদকতা আপনার মধ্যে গ্লো আনে। শঅরীরিক মিলন কালে মহিলাদের শরীর থেকে এস্টোজেন হরমোন নি:সৃত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে।

ভালো ত্বক: শারীরিক মিলনের সময় সারা শরীরে এক প্রকার ম্যাসাজ চলে তার দ্বারা রিল্যাক্সেনের ফলে শরীরে কোন প্রকার দাগ থাকে না বা তা ধীরে ধীরে লুপ্ত হতে থাকে।

প্রোস্টেটে ক্যান্সারের প্রবনতা কম হয়: নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে প্রোস্টেটে ক্যান্সার হওয়া সম্ভাবনা কমে যায়।

হাপানি বা জ্বর থেকে মুক্তি: শারীরিক মিলনকে ন্যাচারাল অ্যান্টি হিস্টামাইন রুপে দেখা হয়। এর দ্বারা নাক বন্ধ থাকলে তা খুলে যায়। আর যাদের ফুসফুসের সমস্যা বা জ্বর হয় তাদের সমস্যারও সমাধানও হয়ে থাকে।

কার্ডিওভাস্কুলার এর ক্ষেত্রে উন্নতি: মহিলারা শারীরিক মিলনের সময় উত্তেজিত হয়ে উঠলে তাদের হার্টের গতি বেড়ে যায়, ফলে তাদের কার্ডিওভাস্কুলার এর সমস্যার সমাধানও হয়ে থাকে।

বিস্বস্ততা বাড়ে: স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক মিলনের বোঝাপড়া ঠিক থাকলে তারা একে অপরকে কখনও ঠকায় না। তাদের ঘনিষ্ঠতা তাদের এমন কাজ করতে দেয় না।

রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায়: শারীরিক মিলনের সময় ব্যক্তির উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তার সারা শরীরে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়। এর ফলে সারা শরীরের প্রতিটি কোষে সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন পৌছায়।

ad

পাঠকের মতামত