185789

নারীর গোপনাঙ্গ থেকে ১৯০০ ইয়াবা উদ্ধার

সাবেকুন্নাহার নাহার নামে বয়স ৩৫ বছর। শ্বশুর বাড়ী টেকনাফের হ্নীলার নাইক্ষ্যংখালী মৌলভীপাড়ায়। স্বামী রশিদ আহমদ।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় বেসরকারী একটি বিমানের ফ্লাইট ছিল তার। ফ্লাইটের ঘন্টা আগে বোর্ডিং পাসের জন্য যাচ্ছিল কক্সবাজার বিমানবন্দরে।

ঘড়ির কাটা সকাল প্রায় দশটা। বিমানবন্দরে প্রবেশ পথে সাবেকুন্নাহারের সামনে হাজির হয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের চৌকষ অভিযানকারী দল। যাত্রা থামিয়ে তাকে চ্যালেঞ্জ করে অভিযানকারীরা। তল্লাসী চালানো হয় শরীর। অভিযানকারী দলে থাকা নারী সহযোগির মাধ্যমে ওই নারীর গোপনাঙ্গ থেকে বের করে আনা হয় দুইটি প্যাক। সেখানে ছিল ১৯০০ ইয়াবা।

সাবেকুন্নাহার শহরের বাচামিয়ার ঘোনা এলাকার মৃত আবদুল মোনাফের মেয়ে বলে জানিয়েছে। বিমানবন্দর থেকে তাকে আটকের পর হাজির করা হয় কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কার্যালয়ে। গণমাধ্যমকর্মীদের সামনে মুখোমুখি করা হয় তাকে। এ সময় স্বীকার করেছে, মাত্র ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে বহনকারী হিসেবে ইয়াবাগুলো ঢাকায় নিচ্ছিল। তাকে দেয়া হয় ঢাকা যাওয়া-আসার বিমানের টিকিট ফ্রি।

আশ্চর্যের বিষয়, পাচারকারী সাবেকুন্নাহার তার গোপনাঙ্গে এভাবে ১৯০০ ইয়াবা ঢুকিয়ে রেখেছে, যে কোন সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে। হতে পারে মৃত্যু।

কিন্তু তার ভাষ্য, সে দীর্ঘ দিন স্বামী পরিত্যাক্তা। তিন সন্তানের জীবিকা ও পড়ালেখার খরচ যোগাতে এপথ বেছে নিয়েছে। এর আগেও বেশ কয়েকবার ইয়াবা পাচার করেছিল ওই নারী। কোনবার ধরা পড়েনি। শেষবারের মতো প্রশাসনের খাচায় বন্দি হলো ইয়াবা পাচারকারী সাবেকুন্নাহার।

কথায় বলে, চোরের দশ দিন গৃহস্থির একদিন। এক বারের ধরা আজীবনের কান্না। অপরাধ করে কারো রেহায় নেই। কেউ আগে আর কেউ পরে। এমনটি ভাষ্য বিজ্ঞজনের।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের ইন্সপেক্টর ধনঞ্জয় চন্দ্র দেব নাথের ভাষ্য, ওই নারী গোপনাঙ্গে ইয়াবা লুকিয়ে বিমানের যাত্রী সেজে ঢাকায় যাচ্ছিল। বিশেষ সোর্সের ভিত্তিতে খবরটি পায় তারা। পরে তল্লাসী চালিয়ে বের করা হয় ১৯০০ ইয়াবা।

ইন্সপেক্টর ধনঞ্জয় চন্দ্র দেব নাথ জানান, পাচারকারী নারী এতই চালাক যে প্রথমে কোনভাবেই স্বীকার করেনি। পরে চ্যালেঞ্জ করে গোপনাঙ্গে পলিথিনের প্যাকে মুড়িয়ে ঢুকিয়ে রাখা অবস্থায় ইয়াবাসমুহ পাওয়া যায়। তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত