এএসপি আনিসুল করিম হ’ত্যাকা’ণ্ডে চিকিৎসক গ্রেপ্তার
পুলিশের সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম শিপনের হ’ত্যাকা’ণ্ডের ঘটনায় রাজধানীর আদাবরে মানসিক নিরাময় কেন্দ্র মাইন্ড এইড’র এক চিকিৎসককে গ্রে’প্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার ওই চিকিৎসককে গ্রে’প্তার করা হয়। পুলিশের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
এ হ’ত্যাকা’ণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনকে গ্রে’প্তার হলেন। গত ৯ নভেম্বর বেলা ১১টায় হ’ত্যাকা’ণ্ডের শি’কার হন বরিশাল মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার আনিসুল করিম শিপন। পরদিন এ ঘটনায় তার বাবা ফয়েজ উদ্দিন বাদী হয়ে আদাবর থানায় মামলা করেন।
অন্যান্য গ্রে’প্তারকৃতরা হলেন- মামলায় মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় (৩৫), কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন শেফ মাসুদ (৩৭), ওয়ার্ড বয় জুবায়েত হোসেন (১৯), ওয়ার্ড বয় তানভীর হাসান (১৮), ফার্মাসিস্ট তানিফ (২০), ওয়ার্ড বয় সঞ্জীব চৌধুরী (২০), ওয়ার্ড বয় অসীম চন্দ্র পাল (২৪), ওয়ার্ড বয় লিটন আহাম্মদ (১৮) ও ওয়ার্ড বয় সাইফুল ইসলাম পলাশ (৩৫)।
হ’ত্যাকা’ণ্ডের শি’কার আনিসুল করিম শিপন ঢাকা বোর্ডের অধীনে ২০০০ সালে এসএসসি ও ২০০২ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে প্রাণরসায়নে এমএসসি সম্পন্ন করেন। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ১৯৮৪ সালের ২১ নভেম্বর গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন শিপন।
৩১তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে দ্বিতীয় স্থান পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন তিনি। চাকরিকালীন শিপন পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, র্যাবসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে দায়িত্ব পালন করেন।
প্রসঙ্গত, বরিশাল মহানগর ট্রাফিক পুলিশের সহকারী কমিশনার আনিসুল করিম শিপন মানসিক চিকিৎসার জন্য গত সোমবার রাজধানীর আদাবরের ওই হাসপাতালে যান। কিন্তু চিকিৎসার বদলে সেখানে তাকে পি’টিয়ে হ’ত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।