358199

ফের ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা

ডেস্ক রিপোর্ট।। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর জেরুজালেমের ওল্ড সিটিতে অবস্থিত ইসলামের তৃতীয় পবিত্র স্থান আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ফিলিস্তিনিদের ওপর চড়াও হয়েছে ইসরায়েলি পুলিশ। ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস, স্টান গ্রেনেড, ধোঁয়া বোমা ও সরাসরি গুলি চালানোর ঘটনাও ঘটেছে। ফিলিস্তিনিরা পরে পাল্টা প্রতিরোধ করতে শুরু করলে সেখানে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে অনেক ফিলিস্তিনি হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া যুদ্ধবিরতি উদযাপনে মসজিদ প্রাঙ্গণে সমবেত হলে সেখানে সংঘর্ষ বাধে। আগের মতো বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করতে শুরু করে ইসরায়েলি পুলিশ।

চিকিৎসকদের বরাতে জানিয়েছে বিবিসি জানিয়েছে, আল-আকসা মসজিদ প্রাঙ্গণে ইসরায়েলি পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।

ফিলিস্তিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম ওয়াফা জানিয়েছে, ইসরায়েলি পুলিশের ছোড়া রাবার বুলেটে ১৫ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া আরও অনেকে কাঁদানে গ্যাস কিংবা পুলিশের পিটুনিতে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ওয়াফা।

পূর্ব জেরুজালেম থেকে আল-জাজিরার প্রতিনিধি ইমরান খান জানিয়েছেন, ‘ফিলিস্তিনিরা তখন গান গাচ্ছিল ও স্লোগান দিচ্ছিল। তার পাশে থাকা ইসরায়েলি পুলিশ মসজিদ প্রাঙ্গণে আসে এবং সবাইকে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে, তারা সবসময় এটা করে আসছে। পুলিশ ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে এ সময় স্টান গ্রেনেড, ধোঁয়া বোমা ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে শুরু করলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।’

আল-জাজিরার প্রতিনিধি জানান, তারা (ইসরায়েলি পুলিশ) তখন ফিলিস্তিনিদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর গুলিও ছোড়ে।

ইসরায়েলি পুলিশ বলছে, পুলিশকে লক্ষ্য করে কয়েকশ তরুণ পাথর ও মলোটভ ককটেল ছুঁড়তে শুরু করলে দাঙ্গা বাধে। জেরুজালেমের পুলিশ কমান্ডার ‘দাঙ্গাকারীদের ঠেকাতে’ পুলিশ কর্মকর্তাদের আল-আকসার ভেতরে ঢোকার নির্দেশ দেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।

আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা ও তার পর হামাসের পাল্টা জবাবের পর থেকে গত ১০ মে ইসরায়েল গাজায় বোমা হামলা শুরু করে। শতাধিক নারী ও শিশুসহ ২৩০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যুদ্ধবিরতি কার্যকরের দিনেই নতুন করে এমন সংঘর্ষ শুরু হওয়ায় উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

 

ad

পাঠকের মতামত