344298

‘স্যার, ওরা তো খুব ছোট তাই আমি চেষ্টা করি যেন বেশি ব্য’থা না পায়’

‘স্যার, ওরা তো খুব ছোট। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি, যেন ওরা বেশি ব্যথা না পায়। আমি তো ওদের শিক্ষক, ওরা ব্য’থা পেয়ে কান্নাকাটি করলে আমার খুব কষ্ট লাগে।’ ভাষ্যটি রাঙ্গুনিয়ার একটি কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক নাছির উদ্দিনের (৩৫)।

নিয়মিত অগণিত শিশুকে তার লা’লসার শি”কারে পরিণত করলেও গ্রে’প্তার হওয়ার পর পুলিশের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে নি”র্যাতনের শিকার শিশুদের প্রতি এমনই সদয় হওয়ার কথা জানান তিনি।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. আনোয়ার হোসেন তার ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাসে তুলে ধরেছেন এসব তথ্য।

তিনি লিখেছেন, ‘নাছিরের বি’রুদ্ধে ওঠা অ’ভিযোগের ফিরিস্তি শুনলে এ মায়াবাক্যাকে আপনার কাছে পরিহাসই মনে হবে। মাদ্রাসার হোস্টেলের ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে থাকার সুযোগ নিয়ে ভ’য়ভীতি দেখিয়ে অনেক শিশু ছাত্রকেই নিয়মিত বিছানার সঙ্গী করে সে। ঘটনা সংক্রান্তে প্রাথমিক অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে যা বের হয়ে আসে, তাতে শি’উরে উঠবেন যেকোনো মানুষই।

ধ’র্ষণ করার জন্য মূলত দশ বছরের নিচে বয়সী ছেলেশিশুদেরকেই টার্গেট করত সে। কোন শিশু তার আহ্বানে সাড়া না দিলে তাকে বাধ্য করার জন্য কারণে অকারণে তাকে বে’ধড়’ক মা’রধর করা হতো। যেহেতু সেখানে বেশিরভাগ শিশুই এতিম/দরিদ্র পরিবার থেকে আসা, শেষ পর্যন্ত তার পক্ষে হুজুরের প্রস্তাবে হ্যাঁ বলা ভিন্ন কোনো উপায় থাকতো না। নাছিরের ছেলেশিশু আ’সক্তি এমন পর্যায়ে উন্নীত হয়েছিলো যে, বিষয়টি টের পেয়ে তার স্ত্রী তিন বছরের সন্তানকে নিয়ে তাকে ছেড়ে চলে যান।

নি’র্যাতনের শিকার ওইসব শিশুর প্রতি সহমর্মি হবার পাশাপাশি নাছির আবার ভীষণ রকম নিয়মনিষ্ঠও। বিশৃঙ্খলা তার একদমই অপছন্দ। তাই তো তিনি একেবারে রুটিন করে দিয়েছেন, ওস্তাদের খেদমতে কবে কখন কোন শিশু হাজির হবে। যেন সেই গল্পের অ’ত্যাচারী সিংহের মতো, যে কিনা বনের পশুদের সাথে চুক্তি করেছিল যে, প্রতিদিন একটি করে প্রাণী খাবার হিসেবে তার নিকট চলে আসলে সে আর যার তার ওপর অ’ত্যাচার করবে না। এই করে বেশ ভালমতোই চলে আসছিল শিক্ষকতার আড়ালে তার বেপরোয়া বি’কৃত যৌ’নজীবন। ছাত্ররাও মা’রধর, হু’মকি ধা’মকির ভ’য়ে নীরবে নিশ্চুপে সব সয়ে যাচ্ছিল।

ঝামেলা শুরু হয় সোমবার(১৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায়। এক অভিভাবকের কাছ থেকে প্রাথমিক অ”ভিযোগ পাওয়ার পর বিশদ অনুসন্ধানে উঠে আসে বলাৎকারকারী নাছিরের গোপন বি’কৃত যৌ’নজীবনের অবিশ্বাস্য সব খতিয়ান। তারপর আনুষ্ঠানিক অভি’যোগ দায়ের এবং মধ্যরাতে পরিচালিত অ’ভিযানে গ্রে’ফতার করা হয় ভণ্ড হুজুর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিনকে।

কিন্তু গ্রে’ফতারের পর রীতিমতো ভোল পালটে ফেলে সে। বারবার পুলিশের নিকট দাবি করতে থাকে, তিনি নাকি কাউকে জো’র করে বিছানায় নিতেন না, ছাত্ররাই নাকি স্বেচ্ছায় তার সঙ্গ নিতে আসতো। যদিও গরিব ঘরের অসহায় ছেলেগুলোর সাথে দিনের পর দিন কোন কৌশলে, কি কি ঘটিয়েছে ন’রপশু নাছির সেটা বলেনি।

মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) সকালে আ’দালতে পাঠানো হলে নাছির ১৬৪ ধারায় জ’বানবন্দি দিয়ে তার বি’রুদ্ধে আনীত ব’লাৎকারের অ’ভিযোগ স্বীকার করেছে। পাশাপাশি ব’লাৎকারের শি’কার শিশুদের মধ্যে চারজনও আদা”লতে উপস্থিত হয়ে তাদের ওপর চালানো নি’র্মমতার বর্ণনা দেয়।

ইনশাআল্লাহ দৃষ্টান্তমূলক শা’স্তিই হবে তার। অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ, আপনার শিশু ছেলে বা মেয়ে যাই হোক, তার নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনায় রাখুন। শিক্ষক হোক, আত্মীয় হোক কিংবা হোক প্রতিবেশী, আপনার সন্তানকে কারো অরক্ষিত শি’কারে পরিণত হবার সুযোগ দিবেন না প্লিজ।

'মানবিক' বলাৎকারকারী!!"স্যার, ওরা তো খুব ছোট। তাই আমি সবসময় চেষ্টা করি, যেন ওরা বেশি ব্যথা না পায়। আমি তো ওদের শিক্ষক,…

Posted by Shamim Anwar on Tuesday, 20 October 2020

ad

পাঠকের মতামত