343454

১২ বছরের ছাত্রীকে নিয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক উধাও!

এক মাস ধরে ধ’র্ষ’ণের পর মঙ্গলবার মাদ্রাসার শিশুছাত্রীকে নিয়ে উধাও হয়েছেন মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মাওলানা মো. ইউসুফ সোহাগ (৪০)। ওই ছাত্রীর বয়স ১২ বছর। পরে ধ’র্ষ’ণের অ’ভিযোগে বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে তাকে আ’টক করে পুলিশে দেন স্থানীয়রা। মাওলানা মো. ইউসুফ দেবিদ্বার উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের সহিদুল ইসলামের ছেলে। তিনি চান্দিনার কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ জামে মসজিদের ইমাম। তিনি একটি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও মোহতামিম।

মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বলেন, ২০১৯ সালে ওই মাদ্রাসায় আমার মেয়েকে ভর্তি করি। মঙ্গলবার জানতে পারি ওই শিক্ষক আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে গেছে। খবর পেয়ে আমি বিভিন্নভাবে খোঁজ নিয়ে চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে মানবাধিকার কর্মী ও কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকারকে বিষয়টি জানাই। তিনি মঙ্গলবার রাতেই ওই শিক্ষকসহ আমার মেয়েকে উদ্ধার করেন।

ওই মাদ্রাসাছাত্রী জানায়, মাদ্রাসায় অধ্যয়নরত অবস্থায় এক মাস আগে ইউসুফ হুজুর আমাকে ধ’র্ষ’ণ করে। আমি বিষয়টি আমার অভিভাবককে জানাতে চাইলে আমাকে বিভিন্ন ভ’য়ভী’তি দেখায়। পরে তিনি সুযোগ পেলেই আমার সঙ্গে খারাপ কাজ করতেন। মঙ্গলবার আমাকে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে জোর করে ঢাকায় নিয়ে যান।

কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকার জানান, ওই শিক্ষক এ পর্যন্ত চারটি বিয়ে করেছেন। এখনও তার দুটি স্ত্রী বর্তমান রয়েছে। কওমি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করে শিশুছাত্রীদের বিভিন্নভাবে জিম্মি করে ধ’র্ষ’ণের আরও বহু অ’ভিযোগ রয়েছে।

দেবিদ্বার থানার অফিসার ওসি মো. জহিরুল আনোয়ার জানান, মেয়েটি ও মাদ্রাসা শিক্ষকের বাড়ি দেবিদ্বার থানা এলাকা হলেও ঘটনাস্থলটি চান্দিনা থানা এলাকায়। এ বিষয়ে চান্দিনা থানা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

চান্দিনা থানার ওসি শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিল না। এখনই জানতে পেরে ওই মাদ্রাসাশিক্ষকসহ মেয়েটিকে থানায় এনেছি।

ad

পাঠকের মতামত