342802

স্ত্রীকে ৪ টু’করা করে হ’ত্যা, পুলিশ সদস্য গ্রে’প্তার

৬ মাসের অ’ন্তঃস’ত্ত্বা স্ত্রীকে চার টু’করা করে হ’ত্যার অ’ভিযোগে সাদ্দাম হোসেন নামে এক পুলিশ সদস্যকে আ’টক করেছে পুলিশ। বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার তাফালাবাড়ী বাজার এলাকা পারিবারিক কলহের কারণে হ’ত্যাকা’ণ্ডের এ ঘ’টনাটি ঘটে। ভোরে পুলিশ লা’শ উ’দ্ধার করে। এ সময় সাদ্দামকেও গ্রে’প্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় তাফালবাড়ী পুলিশ ফাঁড়ির কনেষ্টবল মো. সাদ্দাম হোসেন (৩৫) তার দ্বিতীয় স্ত্রী জোসনা বেগমকে (৩০) নিয়ে তাফালবাড়ী বাজারের একটি বাসায় বসবাস করতেন। তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝ’গড়া বিবাদ লেগে থাকতো। এর ‘জে’র ধরে নিজের ৬ মাসের অ’ন্তঃস’ত্ত্বা স্ত্রীকে খু’ন করেন সাদ্দাম।

যেভাবে খু’ন হন জোসনা-বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোসনা বেগমের দে’হ থেকে মা’থা কে’টে ফেলেন সাদ্দাম। পরে দুই হা’তের কব’জি আলাদা করে ফেলেন। পে’ট কে’টে ৪ টু’করা করে জোসনার গ’র্ভের বা’চ্চাটিকে বের করে ফেলেন।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শরণখোলা থানা পুলিশ আজ শুক্রবার ভোরে সাদ্দামের ওই ভাড়া বাসায় অ’ভিযান চালায়। পরে সেখান থেকে জোসনার খ’ণ্ডকৃ’ত দে’হ উ’দ্ধার করে। এ সময় সাদ্দামকে আ’টক করে পুলিশ সদস্যরা। খবর পেয়ে জেলা পুলিশ সুপার পঙ্কজ কুমার রায়সহ পুলিশের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।

আজ শুক্রবার সকালে শরণখোলা থানায় সাদ্দামের বি’রুদ্ধে একটি হ’ত্যা মা’মলা দায়ের করেছেন নি’হত জোসনার মা জুলেখা বেগম। আ’টক পুলিশ কনেষ্টবল সাদ্দামকে এ মা’মলায় গ্রে’প্তার দেখানো হয়েছে।

জানা গেছে, এক বছর আগে খুলনার রূপসা থানার চানপুর গ্রামের বাসিন্দা জোসনাকে বিয়ে করেন সাদ্দাম। তার বাবার নাম আ. লতিফ। তাদের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি থানার বড়দল গ্রামে। ২০১৩ সালে পুলিশ বাহিনীতে যোগ দেন সাদ্দাম। সেখান থেকে গত তিনমাস আগে ফকিরহাট থেকে তাফালবাড়ীর পুলিশ ফাঁড়িতে তিনি যোগদান করেন।

শরণখোলা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, সাদ্দাম তার স্ত্রীকে হ’ত্যার কথা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন।

পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় বলেন, ‘পারিবারিক কলহের কারণে পুলিশ সদস্য সাদ্দাম হোসেন তার স্ত্রীকে হ’ত্যা করেছেন। আমরা সাদ্দাম হোসেনকে গ্রে’প্তার করেছি। পারিবারিক ক’লহের কোন পর্যায়ে স্ত্রীকে হ’ত্যার মতো ঘ’টনা ঘটল তার প্রকৃত কারণ উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।’

ad

পাঠকের মতামত