342804

এক শ্যালককে হ’ত্যা ও অপরজনকে হ’ত্যাচে’ষ্টা, দুলাভাই আ’টক

বরগুনায় এক মোসলেম (২২) নামে এক তরুণ তার এক শিশু শ্যালককে (৬) পানিতে ডু’বিয়ে হ’ত্যা এবং দেড় বছর বয়সী অপর শ্যালককে হ’ত্যার চেষ্টা করেছে। এ ঘ’টনার পর স্থানীয়রা তাকে ধ’রে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে। বরগুনা সদর উপজেলার ডালভাঙা গ্রামের ফারুক মোল্লার ইটভাটা সংলগ্ন বিষখালী নদীর তীরে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম। তিনি জানান, মোসলেমের বাড়ি সিরাগঞ্জে। তিনি ঢাকায় রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। প্রাথমিকভাবে মোসলেম হ’ত্যা ও হ’ত্যাচে’ষ্টার বিষয়টি স্বী’কার করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হ’ত্যার শি’কার শিশুর নাম আবদুল্লাহ। আর যাকে হ’ত্যার চেষ্টা করা হয়েছে, তার নাম আফসান। আজ সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শিশু আবদুল্লাহর ম’রদে’হের সন্ধান পাওয়া যায়নি। পুলিশ ও স্থানীয়রা বিষখালী নদীতে ম’রদে’হ খুঁজছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাসিন্দা আবদুর রহিম জানান, ডালভা’ঙা এলাকার নদীসংলগ্ন একটি দীঘিতে শিশু আফসানকে চু’বিয়ে হ’ত্যার চেষ্টা করছিল মোসলেম। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তিনি দ্রুত সেখানে গিয়ে ওই শিশুটিকে উ’দ্ধার করেন। পরে স্থানীয়রা মোসলেমকে আ’টক করে পুলিশে খবর দেয়। এর আগে, আবদুল্লাহকে পানিতে ডুবিয়ে হ’ত্যার পর ম’রদে’হ বিষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেয় মোসলেম।

নি’হত শিশু আবদুল্লাহর বাবা ছগীর হোসেন বলেন, ‘তিন মাস আগে অসুস্থ হয়ে আমার স্ত্রীর মৃত্যু হয়। এরপর আবদুল্লাহ (৬) ও আফসানকে (১৮ মাস) আমার দুই মেয়ে লালন-পালন করত। সপ্তাহখানেক আগে জামাতা মোসলেম বরগুনায় আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসে।’

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে ডালভাঙা এলাকায় নানা-শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে তার দুই ছেলে আবদুল্লাহ ও আফসানকে নিয়ে ঘুরতে বের হয় মোসলেম। সন্ধ্যার পর তিনি জানতে পারেন তার বড় ছেলে আবদুল্লাহকে পানিতে ডুবিয়ে হ’ত্যার পর ম’রদে’হ বি’ষখা’লী নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছে মোসলেম। এ ছাড়াও, ছোট ছেলে আফসানকে একই প্রক্রিয়ায় হ’ত্যাচে’ষ্টার সময় স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে আ’টক করে।

ছগির আরও বলেন, ‘মোসলেম আমার বড় মেয়ে ছবির জামাতা। ঢাকায় থাকা অবস্থায় আমার মেয়ে ও নাতিকে ঠিকমতো ভরণপোষণ দিত না। তাই মাস খানেক আগে আমার মেয়ে তার সন্তান নিয়ে আমার বাড়িতে চলে আসে। এরপর মোসলেমও সপ্তাহখানেক আগে এসে তার বাচ্চাকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু, আমরা মোসলেমের কাছে আমার নাতিকে দিতে রাজি হইনি। এর জে’র ধরে মোসলেম এ কা’ণ্ড ঘটায়।

শিশু শ্যালক আবদুল্লাহকে হ’ত্যার বিষয়টি স্বীকার করে মোসলেম বলেন, ‘আমার ছেলেকে নিয়ে যেতে এসেছিলাম। কিন্তু, আমার স্ত্রী ও শ্বশুর নিয়ে যেতে দেয়নি। এ কারণে ক্ষু’ব্ধ হয়ে আমি শ্যালক আবদুল্লাহ ও আফসানকে হ’ত্যার পরিকল্পনা করে বেড়াতে নিয়ে যাই। এরপর প্রথমে আবদুল্লাহকে দীঘিতে ফেলে চু’বিয়ে হ’ত্যা করে ম’রদে’হ বি’ষখালী নদীতে ভাসিয়ে দেই। এরপর আফসানকেও একই প্রক্রিয়ায় হ’ত্যার চে’ষ্টা করি।’

ঘ’টনার পরপরই স্থানীয়রা ঘা’তক মোসলেমকে আ’টক করে রাখে। খবর পেয়ে গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের কাছেও হ’ত্যার বিবরণ দেয় মোসলেম। স্থানীয়দের কাছ থেকে উ’দ্ধার করে মোসলেমকে নিয়ে ঘ’টনাস্থল পরিদর্শন করে পুলিশ। পরে তাকে আ’টক করে থানায় নিয়ে যায়।

বরগুনা সদর থানার ওসি তরিকুল ইসলাম জানান বলেন, ‘নি’হত শিশুর ম’র’দে’হ উ’দ্ধারের চেষ্টা চলছে। ঘা’তক মোসলেমকে আট’ক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তার বি’রুদ্ধে হ’ত্যা মা’মলা প্রক্রিয়াধীন।’

ad

পাঠকের মতামত