342562

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নি’হতদের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি

জেলা প্রতিনিধিঃ কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার রাতের সং’ঘর্ষে নি’হত ৪ জনের মধ্যে দুজন বাংলাদেশি বলে জানা গেছে।

তারা হলেন, টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের রঙ্গিখালীর বাসিন্দা নোহা গাড়ির চালক নুরুল হুদা অপরজন হেলপার আবুল বশর। তাদের দুজনকে জ’বাই ও গু’লি করে হ’ত্যা করেছে স’ন্ত্রাসী রোহিঙ্গারা।

নি’হত অপর দুইজন শীর্ষ রোহিঙ্গা সন্ত্রা’সী মুন্নার ভাই গিয়াস উদ্দিন ও ফারুক। নি’হতদের প্রত্যেকের শ’রীরে গু’লি ও দায়ের কো’পের চি’হ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, যাত্রীবেশে একদল রোহিঙ্গা স’ন্ত্রাসী রঙ্গিখালী এলাকা থেকে নুরুল হুদার নোহা গাড়িটি ভাড়া করে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সং’ঘর্ষে যোগ দিতে যায়। ক্যাম্পে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিপক্ষ স’ন্ত্রাসীরা অতর্কিত হা’মলা করে। রোহিঙ্গা ভেবে স্থানীয় নুরুল হুদা ও আবুল বশরকেও নি’র্মমভাবে জ’বাই ও গু’লি করে হ’ত্যা করে তারা।

হ্নীলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাশেদ মো. আলী জানান, নোহা চালক নুরুল হুদা নি’হত হয়েছেন সেটা আমি নিশ্চিত। আবুল বশরও নিহ’ত হয়েছেন বলে শুনতে পাচ্ছি। তবে কেউ কেউ বলছে এখনও আবুল বশর বেঁ’চে আছেন। তাকে রোহিঙ্গা সন্ত্রা’সীরা আ’টকে রেখেছে।

এ বিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সঞ্জুর মোরশেদ জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ৪ জনের মৃ’তদে’হ শ’নাক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয়রা মৌখিকভাবে লা’শগুলো এর-ওর বলে দাবি করছে।

তবে স্থানীয় শাহ আলমসহ আরও কয়েকজন জানান, নি’হত চারজনের মধ্যে দুইজন স্থানীয় নোহা গাড়ির চালক নুরুল হুদা ও হেলপার আবুল বশর।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর কুতুপালং লম্বাশিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা দু’গ্রুপের সং’ঘর্ষে ৪ জন নি’হত হন। প্রাথমিকভাবে চারজনকেই রোহিঙ্গা বলে দাবি করেছিলেন শৃঙ্খলাবাহিনী। কিন্তু সকালে নিহ’তদের মাঝে দু’জন স্থানীয় বলে প্রচার পাওয়ার পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত