341163

সীমান্তে আরো লাখ সৈন্য, হঠাৎ হা’মলা চালাবে ভারত!

বিরোধপূর্ণ হিমালয় অঞ্চলে ভারত আকস্মিকভাবে হা’মলা চালাতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন এক অবসরপ্রাপ্ত চীনা জেনারেল। নয়া দিল্লি ওই এলাকায় সৈন্য সংখ্যা দ্বিগুণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বুধবার প্রতিরক্ষা বিষয়ক একটি সামাজিক গণমাধ্যম পেজে চীনের অবসরপ্রাপ্ত লে. জেনারেল ওয়াং হঙ্গুয়াং ওই হুঁ’শিয়ারি উচ্চারণ করেন।

বিতর্কিত চীন-ভারত সীমান্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলে (এলএসি) ভারতের মাত্র ৫০,০০০ সেনা রাখলেই চলে। কিন্তু এখন শীত এগিয়ে আসার পরও ভারত লাদাখে আরো ১০০,০০০ সৈন্য পাঠিয়েছে। তিনি বলেন, এলএসিতে ভারত সেনা সংখ্যা দ্বিগুণ বা তিনগুণ করেছে। তাদের বেশিরভাগ চীন সীমান্তে ৫০ কিলোমিটারের (৩১ মাইল) মধ্যে অবস্থান করছে। তারা সহজে কয়েক ঘন্টার মধ্যে চীনা ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারে।

বর্তমানে ইস্টার্ন থিয়েটার কমান্ডের অংশ নানজিং মিলিটারি অঞ্চলের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার ওয়াং অবশ্য ভারতীয় সেনা সংখ্যার সূত্র সম্পর্কে কিছু বলেননি। তিনি আরো বলেন, সং’ঘাতের বি’পদ বেড়েছে এবং তাইওয়ান প্রণালীর ঘটনাবলী ও যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ভারতকে ‘বড় কিছু করে ফেলতে’ উদ্বুদ্ধ করতে পারে।

আগামী নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়ের আগে চীনা সেনাবাহিনীর জন্য তাদের টহল সেনা সংখ্যা কমানো ঠিক হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ওয়াংয়ের মূল্যায়ন এমন সময় প্রকাশ পেল যখন দুই দেশ সবেমাত্র সামরিক কমান্ডার পর্যায়ে ষষ্ঠ দফা আলোচনা শেষ করেছে।

গত সোমবারের ওই বৈঠকে দুই পক্ষ তাদের নেতাদের মধ্যে ঐকমত্যগুলোর বাস্তবায়ন, মাঠের যোগাযোগ বাড়ানো, ভুল বুঝাবুঝি এড়ানো এবং ফ্রন্টলাইনে আরো সেনা না পাঠানোর ব্যাপারে একমত হয়। তারা মাঠের স্থিতাবস্থা একতরফাভাবে পরিবর্তন এবং পরিস্থিতিকে জটিল করতে পারে এমন কোনো ব্যবস্থা নেয়া থেকে বিরত থাকতেও রাজি হয়।

গত মে ও জুন মাসে হিমালয় অঞ্চলের প্রত্যন্ত গালওয়ান উপত্যকায় সেনাদের মধ্যে ছোটখাট সং’ঘর্ষের পর চীন ও ভারতের মধ্যে উত্তে’জনা তৈরি হয়। মধ্য জুনে চীনা সেনাদের হাতে ২০ ভারতীয় সেনা নি’হত ও অন্তত ৭৬ জন আ’হত হয়। চীনা পক্ষে হ’তাহত সম্পর্কে জানা যায়নি।

আগস্ট থেকে সেনাদের মধ্যে আরো অন্তত দুইবার সং’ঘর্ষ হয়েছে এবং ফাঁ’কাগু’লি বর্ষণের জন্য তার পরস্পরকে দায়ি করেছে। এটা ছিলো এলএসি’র ২ কিলোমিটারের মধ্যে কেউ আ’গ্নেয়া’স্ত্র ব্যবহার করবে না বলে অনেক পুরনো একটি চুক্তির লঙ্ঘন। ফলে ওই এলাকায় দুই পক্ষই শক্তি বৃদ্ধি করছে।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় মিডিয়ায় বলা হয় যে শীতকালে অগ্রবর্তী ঘাঁটিগুলোর সেনাদলকে সহায়তা করার জন্য হেলিকপ্টার প্রস্তুত রয়েছে। হংকংভিত্তিক সামারিক ভাষ্যকার সং ঝংপিং বলেন, বিতর্কিত সীমান্তে ভারত বাড়তি সেনা পাঠানোর কারণে চীনকে সত’র্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, ভারত সবসময় হীনমন্যতায় ভোগে এবং কথিত এলএসি মেনে নিত পারছে না। ফলে তারা ভূখণ্ড দখলের জন্য হা’মলা করতে পারে। বেইজংভিত্তিক সামরিক বিশেষজ্ঞ ঝাও চেনমিং বলেন, ভারতে জাতীয়তাবাদী অহং বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং ওই এলাকায় প্রয়োজনীয় সেনা সংখ্যার ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে পার্থক্য ভারতকে অধিকতর দু:সাহসী ও সুযোগসন্ধানী করে তুলতে পারে।

তিনি বলেন, ভারতের অতি জাতীয়তাবাদী মনোভাব দেশটির জন্য সেনা ফিরিয়ে নেয়ার কোন দরজা খোলা রাখেনি। ফলে সেখানে দীর্ঘমেয়াদি অচলাবস্থার আ’শঙ্কা করছি আমি।

সূত্র এসসিএমপি/

ad

পাঠকের মতামত