340387

চীনকে কড়া হুঁ’শিয়ারি তাইওয়ানের

আত্মরক্ষার্থে ‘হয়রানি এবং হু’মকি’র জবাব দেয়ার অধিকার রয়েছে তাইওয়ানের স’শস্ত্রবাহিনী। গেল সপ্তাহে তাইওয়ান প্রণালীর স্পর্শকাতর স্থানে কয়েকটি যু’দ্ধবিমান পাঠায় চীন। এরই প্রেক্ষিতে বেইজিংকে সতর্কবার্তা দিল তাইপে।

চীন এবং দেশটির বিচ্ছিন্ন অঞ্চল তাইওয়ানের মধ্যে সামরিক উ’ত্তেজনা বেড়ে গেছে। সম্প্রতি তাইপে মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তার আনোগোনায় সীমান্তে যু’দ্ধবিমান এবং জাহাজ পাঠিয়ে ওয়াশিংটন এবং হুঁ’শিয়ারি দেয় চীন।

তাইওয়ান নিজেদের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চল হিসেবে দাবি করার পরই উত্তেজনার পারদ আরো বেড়েছে। গেল সপ্তাহে তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে বৈঠক করতে তিনদিনের সফর তাইপেতে আসেন মার্কিন অর্থনীতি বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি কেইথ ক্রাচ। তখনই তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক মহড়া চালায় চীন।

আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে চীনের কাছে সবচেয়ে স্পর্শকাতর প্রসঙ্গ তাইওয়ান। বেয়াড়া দ্বীপটি যে তাদেরই অংশ এ নিয়ে কোনো আপস করতে রাজি নয় তারা। তাইওয়ানকে পৃথক দেশ হিসেবে মানে না বেইজিং। সে দেশের সরকারও তাদের কাছে ‘তাইওয়ান কর্তৃপক্ষ’ মাত্র।

চীনের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হওয়ার ভয়ে বিশ্বের অধিকাংশ দেশই তাইওয়ানের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখে না। জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত ১৯৩টি দেশের মধ্যে তাইওয়ানের সঙ্গে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক আছে মাত্র ১৫টি দেশের। চীনের বাধায় তাইওয়ান জাতিসংঘেও নেই।

চীন বরাবরই বলে যাচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে না হলে জোর করে তাইওয়ানকে ‘মূল ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণে’ আনা হবে। ইদানীং এই হুমকি উচ্চমাত্রায় পৌঁছেছে। চীনের সাফ কথা, ‘এক দেশ, দুই ব্যবস্থা’ নীতির আওতায় পুঁজিতান্ত্রিক তাইওয়ান চীনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। যেভাবে আছে হংকং। কিন্তু সবশেষ জরিপে তাইওয়ানের ৯৫ ভাগ মানুষই চীনের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার বিরুদ্ধে। সাই ইং-ওয়েনের দুই দফা প্রেসিডেন্ট হওয়া সেই মনোভাবেরই প্রকাশ।

কিন্তু তাইওয়ানকে চাপে রাখতে চীন এখন পেশিশক্তি দেখাচ্ছে। সেখানে যুদ্ধবিমানের আনাগোনাও বেড়েছে। তাইওয়ানের উপকূল ঘেঁষে প্রায়ই চীনের নৌবাহিনী শক্তি দেখায়।

ad

পাঠকের মতামত