‘ভবিষ্যতে প্রবাসীদের মা’রাত্মক খেসারত দিতে হবে’
ডেস্ক রিপোর্ট।। নিঃসন্দেহে বড় ধরনের ক্ষ’তির সম্মুখীন হলো বাংলাদেশ। এর দায় কে নেবে? বাংলাদেশ থেকে আসা একটি ফ্লাইটকে ইটালি ভাইরাসবাহী বোমার সঙ্গে তুলনা করায়- ফেসবুক পাতায় এক পাঠকের এই মন্তব্য।
যারা এই ফ্লাইটগুলো পরিচালনা করছেন তাদের উচিত ছিল স্বচ্ছতা অবলম্বন করা। কারণ এটা যুদ্ধক্ষেত্রের চেয়ে মারাত্মক। এতে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়, আমাদের দেশের প্রশাসন আর ঐ দেশের প্রশাসনের মধ্যে রাতদিন পার্থক্য, তবে যাত্রীদের ইটালির আ’ইনকানুন সম্পর্কে ভালো করে জানা দরকার ছিলো। ফেসবুক পাতায় পাঠক ওমর ফারুক তার ভাবনার কথা জানিয়েছেন এভাবে।
আর পাঠক আবদুর রহিমের ধারণা বাংলাদেশে এত দু’র্নীতি হলে এইভাবে একটা দেশ চলতে পারেনা। সরকারে দু’র্নীতির বি’রুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার তা না হলে দেশটি গোটা বিশ্ব থেকে পৃথক হয়ে যেতে পরবে।
পাঠক আব্বাস আলির মতও অনেকটা আবদুর রহিমের মতো। তিনি লিখেছেন, দু’র্নীতির একটা সীমা থাকা উচিত, দেশ এমন একটা জায়গায় পৌঁছালো যে দেশের মানুষের পালানোর জায়গাও নেই।
বাংলাদেশ থেকে আসা একটি ফ্লাইটকে ভাইরাসবাহী বোমার সঙ্গেও তুলনা করেছে ইটালির কর্তৃপক্ষ। এ সম্পর্কে পাঠক রুবেল সারোয়ার বলছেন, যাদের মাধ্যমে যাত্রীদের এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে তাদের সুষ্ঠু ত’দন্ত করা হোক। এই গুটিকয়েক মানুষের জন্য প্রবাসীরা কষ্টে ভুগবে আর দেশের সুনাম ক্ষুন্য হবে এটা কাম্য নয়। এবার চোখ খুলে এগুলি প্রশাসনকে দেখতে হবে যে, এর মূলে কে বা কারা।
নিঃসন্দেহে বড় ধরনের ক্ষ’তির সম্মুখীন হলো বাংলাদেশ। এখন এর দায় দায়িত্ব কে নেবে? আমাদের প্রধানমন্ত্রী ও বোধহয় অন্ধ হয়ে দেশ পরিচালনা করছেন? এই মন্তব্য সৈয়দ লুত্ফুল কবিরের।
পাঠক জামাল হোসেন ইটালি প্রবাসীদের উদ্দেশ্যে বলেন, হে রেমিট্যান্স যো’দ্ধা, কেন তোমরা নিজেদের অবস্থান ন’ষ্ট করছো।
আমরা এখনও জানিনা যে, যাত্রী নিজে ভু’য়া সার্টিফিকেট কিনেছিল, নাকি তাকে ভুয়া সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল? প্রশ্ন হাবিবুর রহমানের। তিনি লিখেছেন, আসলে দোষ আমাদের র’ক্তে, ব্রিটিশ, পাকিস্তানি, হালে ইন্ডিয়ানদের র’ক্ত মিলে এক অদ্ভুত র’ক্তে আমরা তৈরি হয়েছি, যাদের ধ্বং’স করার জন্য অন্য কারো দরকার হবে না। বাঙালিই হবে বাঙালির ধ্বং’সের মুখ্যম হাতিয়ার।
আর পাঠক ইমতিয়াজ হোসেন দেশের মানুষের নৈতিকতা নিয়ে ভাবছেন। তিনি লিখেছেন, যাত্রীরা ভাইরাস নেগেটিভ সার্টিফিকেট কিনে নিয়ে গিয়েছে! যারা দেশের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরগুলো চালায় তার প্রতিটা ক্ষেত্রেই দুর্নীতি ছেঁয়ে গেছে, জানিনা কবে আমাদের নৈতিকতা ফিরে আসবে?
পাঠক লাবুর ধারণা এরকম, তার মানে আমরা আশে পাশে যত সুস্থ মানুষ দেখছি তার অধিকাংশই ভাইরাস বহনকারী অথচ আমরা তা মোটেও জানি না। সে হিসেবে আমার মতে বাংলাদেশের প্রায় ৭০% মানুষ করোনা দ্বারা অলরেডি আ’ক্রান্ত।
একারণে বাংলাদেশের কিছু মানুষের জন্য ভবিষ্যতে অনেক প্রবাসীকে মা’রাত্মক খেসারত দিতে হবে বলে মনে করেন পাঠক আহমেদ ইমরান।
দীপঙ্কর রায় খুব দুঃখ করে লিখেছেন, এভাবে চললে বাংলাদেশ বহিঃবিশ্ব থেকে ছিটকে পড়বে, টেস্ট ছাড়া দেদারসে পাওয়া যাচ্ছে পজেটিভ বা নিগেটিভ সার্টিফিকেট। দেশে কোনো আইন নাই, আমরা সাধারণ জনগণ শুধু কমেন্ট আর দুঃখ প্রকাশ করা ছাড়া কিছু করতে পারি না।
ফেসবুক পাতায় এ নিয়ে মোহাম্মদ সামসুদ্দোহা তাপসের ব্যা’ঙ্গোক্তি, আমাদের রপ্তানি পণ্যের তালিকায় এখন করোনা।
সব নেত্রীর সাফল্য! কয়দিন আগে শুনলাম বিশ্বে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশ নাকি রোল মডেল, মন্তব্য মোস্তফা কামালের।
আরেক পাঠক গিয়াস উদ্দিন বলেছেন, দেশটার ইজ্জত সম্মান ডুবাইল।
সাদের আহমেদও খানিকটা মজা করছেন, লিখেছেন, দেশের নাম ভাইরাল হচ্ছে,বাহ! ভাল তো! বিনা পয়সায় আন্তর্জাতিক মিডিয়া বাংলাদেশকে নিউজ হেডলাইন করছে!!
ইটালির গণমাধ্যম প্রশ্ন রেখেছে, একটি দেশে কি করে ভু’য়া করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট পাওয়া যায়! ইটালি সরকার অবশ্য এজন্য বাংলাদেশ সরকারকেই দায়ী করেছে। ফেসবুক পাতায় এসব কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রেজাউল হক।
এদিকে আসিফ রিদওয়ান সরকারের নীতির সমালোচনা করেছেন এভাবে, বাংলাদেশে যদি প্রথম একমাস লকডাউন দেয়া হতো, তাহলে এসব দেখতে হতোনা। একেই বলে অদূরদর্শিতা, নির্বুদ্ধিতা। কর্তৃপক্ষের এসব নিয়ে কোন ভ্রূক্ষেপই নেই। নেই কোন পরিকল্পনা বা প্ল্যান!
দেশে সবক্ষেত্রে দু’র্নীতির কারণে বিদেশে বদনাম হচ্ছে এমনটাই মনে করেন পাঠক জহিরুল হক রেজা, সিরাজুল হক, মহিদুল খান সুমন, আজিজুর রহমান নাসির উদ্দিন, হুমায়ূন কবির, তৈয়বুর রহমান বাবুল, মোহাম্মদ তানভির, নাজমুল হাসান, মাহবুব হাবিবসহ অনেকে। উৎস: ডয়চে ভেল
