324875

ঝাঁড়-ফুঁক দিয়ে চিকিৎসার নামে ধ’র্ষ’ণ চেষ্টা

নিউজ ডেস্ক।। বরগুনার বেতাগীতে ঝাঁড়-ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়ার অজুহাতে এক কিশোরীকে ধ’র্ষ’নের চেষ্টা করা হয়েছে। এ অ’ভিযো’গ উপজেলার চিবিচিনি ইউনিয়নের দেশান্তরকাঠী গ্রামের নারায়ন চন্দ্র শীলের পুত্র লক্ষীচন্দ্র শীলের বি’রু’দ্ধে।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে একই গ্রামের এক কিশোরীকে ঝাঁড়-ফুঁক দিয়ে চিকিৎসার অজুহাতে কিশোরীর ঘরের পিছনের কক্ষে নিয়ে যায়। এতে সম্মুখ কক্ষে থাকা কিশোরীর মায়ের সন্দেহ হয়। কিছুক্ষণ পরে দেখে কিশোরীকে চিকিৎসার নামে তার স্প’র্শকা’তর বিভিন্ন যায়গায় স্পর্শ করে মুখ চেপে ঝাপটে ধরে। এতে কিশোরী ও তার মা চিৎকার করলে লোকজন আসার পুর্বেই লক্ষী চন্দ্র শীল পাালিয়ে যায়।

ঘটনা জানাজানির পরপরই লক্ষির ভাই ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এলাকায় ক্যাডার নামে পরিচিত রবি চন্দ্র শীলের নেতৃত্বে কতিপয় যুবক ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে এবিষয়ে কোথাও কোন অ’ভিযো’গ না দেওয়ার জন্য প্রা’ন না’শের হু’ম’কি দেয় বলে জানান অসহায় কিশোরীর গরিব বাবা।

এদিকে এলাকার অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকদের জানান, নারায়নচন্দ্র শীলের তিন ছেলে দীর্ঘদিন যাবৎ এলাকায় ঝাঁড়-ফুঁকের মাধ্যমে চিকিৎসার নামে বিভিন্ন অ’পক’র্মে লি’প্ত এবং নিরীহ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বিবিচিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নওয়াব হোসেন নয়ন খান বলেন, ঘটনার পরে ইউপি সদস্য ছত্তার মল্লিক, রিয়াজ হোসেন, আলমগীর হোসেন ও বেতাগী থানার এস আই আমিনুল ইসলামসহ ভুক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। বি’চারের জন্য বৈঠকে বসলেও লক্ষীচন্দ্র শীল ও তার ভাই রবিচন্দ্র শীল সেখানে না আসায় বি’চার করা সম্ভব হয়নি। এখন থানা আছে তারাই বি’চার করবে।

ওদিকে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মৃধার নেতৃত্বে ৭০ হাজার টাকা ঘু’ষ’ নিয়ে ভুক্তভোগীদের ”ভ’য় দেখিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করার অ’ভিযো’গ করেছেন নাম প্রকাশ নাকরার শর্তে সমাজ সচেতন এলাকার অনেকেই। তারা বলেন, এলাকায় এর যদি বি’চার না হয় সমাজে অ’পক’র্ম বেড়েই যাবে।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ মৃধা বলেন, সমঝোতার বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা।

ইউপি সদস্য আব্দুস সত্তার মল্লিক বলেন এরা এলাকায় স’ন্ত্রা’স করে বেড়ায় মেম্বার চেয়ারম্যান এদের কোন কাজে লাগে না।

বেতাগী থানার অফিসার ইনচার্জ সখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, শনিবার ভুক্তভোগীর বাবা ও মা থানায় এসেছিল লিখিত অ’ভি’যোগ নিয়ে। অ’ভি’যোগ পত্রটি কাঁটাছিড়া থাকায় কম্পিউটার করে আগামীকাল জমা দিবে বলে গিয়েছে। অ’ভিযো’গ পেলে আমি আ’ইনি ব্যবস্থা নিব।

স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের চাপে সমঝোতা করতে বাধ্য হচ্ছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন সমঝোতা তাদের নিজস্ব ব্যাপার।

ad

পাঠকের মতামত