320045

করোনার ভ্যাকসিন প্রায় তৈরি, দাবি চীনা প্রতিষ্ঠানের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের খোঁ’জে তো’লপাড় চ’লছে গো’টা বিশ্বে। অন্তত ৮০টি জায়গায় স্বত’ন্ত্র গবেষণা চ’লছে। অনেকেই দাবি করছেন, তারা প্রায় সে’রে ফে’লেছেন গবেষণা। তাদের সবার থেকে এগিয়ে চীনা প্রতিষ্ঠান সিনোভাক। তারা বলছে, এখন শুধু গণ উৎপাদনের ছাড়পত্রের অপেক্ষা। তাদের গবেষণাগারে তৈরি ভ্যাকসিনই করোনা ঠে’কাতে সাহায্য করবে।

এই মুহূর্তে বিশ্বে করোনায় মৃ’তের সংখ্যা ২ লাখ ২০ হাজার ছা’ড়িয়েছে। তাই আর দেরি না করে গ’ণহারে উৎপাদন করতে চায় এই চীনা প্রতিষ্ঠান। সিনোভাকের দাবি, বানরের শরীরে অভুতপূর্ব সাফল্য মিলেছে এই ভ্যাকসিনের। তবে গ’ণহারে উৎপাদন করার জন্যে এখনো অনেকগুলো ধা’প পেরো’নো বাকি তাদের।

করোনার এই দুঃসময়ে যে চারটি ভ্যাকসিনের ক্লি’নিক্যা’ল ট্রা’য়ালের অনুমো’দন দিয়েছে চীন, তার একটি পরিচালনা করছে সিনোভ্যাক বায়োটেক। বিশ্বব্যা’পী করোনাভাইরাস রো’ধে পরীক্ষামূ’লক ভ্যাকসিনটির ব্যাপক উৎপাদনের প্রস্তুতি নিচ্ছে চীন। ভ্যাকসিনটি সদ্যই মানব শরীরে পরীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে।

সংস্থাটি বলছে, করোনা প্রতিরো’ধের জন্য প্রতি বছরে ১০ কোটি ডোজ উৎপাদন করতে তারা প্রস্তুত। একটি নি’ষ্ক্রিয় প্যা’থোজে’নের ওপর ভিত্তি করে এই ভ্যাকসিনের হাজারো শট সাদা-কমলা রঙের একটি প্যাকেজে সজ্জিত করা হয়েছে, যার নাম দেওয়া হয়েছে করোনাভ্যাক। এই ভ্যাকসিনটি প্রায় তৈরি হয়ে গেছে।

ভ্যাকসিনটির অনুমো’দন পেতে আরো দীর্ঘ পথ পারি দিতে হবে। যথাযথ কর্তৃপক্ষের দ্বারা অনুমো’দিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক’ম্পানি’টিকে এটাও দেখাতে হবে যে, তারা বৃহৎ পরিসরে ভ্যাকসিনটি উৎপাদন করতে সক্ষ’ম। তবে এর আগে সোয়া’ইন ফ্লু’’র ভ্যাকসিনও গ’ণ হারে উৎপাদন করেছিল সিনোভাক। তাই ধারণা করা হচ্ছে, এই সংস্থাটি করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে।

সিনোভ্যাক চীনের পূর্ব জিয়াংসু প্রদেশে এপ্রিল মাসে একশ ৪৪ জন স্বে’চ্ছাসেবীর ওপর ভ্যাকসিনটি পরীক্ষা চালিয়েছে। ক্লি’নিক্যা’ল ট্রা’য়ালগুলোর প্রথম দুটি পর্যায়ের পরে জুনের শেষ নাগাদ ভ্যাকসিনটির আশাব্যাঞ্জক ফল পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী ক’ম্পানিটি।

পরীক্ষার তৃতীয় ধা’প সম্পন্ন হলেই নির্ধারণ করা যাবে ভাইরাসের বাহকের মধ্যে ভ্যাকসিনটি কা’র্যকর কি-না। তবে সিনোভাক তৃতীয় ধা’পের পরীক্ষার জন্য প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে। কারণ, চীনে ভাইরাসটির সং’ক্র’মণ কমে যাওয়ায় ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য পর্যাপ্ত স্বেচ্ছাসেবক তারা পাচ্ছে না।

সিনোভ্যাক নামক এই সংস্থাটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক পরিচালক মেং উইং বলেন, বর্তমানে আমরা ইউরোপ ও এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে কথা বলছি। তৃতীয় ধা’পের জন্য কয়েক হাজার লোকের প্রয়োজন হবে। তবে ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য কোন দেশ থেকে এই পরিমাণ স্বে’চ্ছাসে’বী পাওয়া সহজ নয়। পরবর্তী ধা’পে সাফল্য পেলেও সিনোভ্যাক পু’রো বিশ্বের জনগণের চিকিৎসার জন্য পর্যাপ্ত টি’কা তৈরি করতে সক্ষ’ম হবে।

সিনোভ্যাকের এই আন্তর্জাতিক বিষয়ক পরিচালক বলেন, ব্যা’পক হা’রে ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে সংস্থাটি বিদেশি অংশীদারদের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত আছে। গবেষণা কাজের পাশাপাশি সিনোভ্যাক ব্যা’পক উৎপাদনের জন্যও প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা দিনরাত কাজ করছি। আমাদের কর্মীরা তিন শিফটে ২৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। ভ্যাকসিনটি তৈরির জন্য আমরা এক মিনিটও অপ’চয় করি না।সূত্র: দ্য স্টার অনলাইন।

ad

পাঠকের মতামত