319664

পৃথিবী কি ধ্বং’সের পথে এগিয়ে যাচ্ছে, যা বলে গিয়েছিলেন স্টিফেন হকিং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হাম’লার ঘটনা ঘটে ২০০১ সালে । এতে ৩ হাজার মানুষ ‘নি’হ’ত হয়। আর করোনায় এ পর্যন্ত শুধু নিউইয়র্কেই মৃ’ত্যু ছাড়িয়ে গেছে ২২ হাজার। ৯/১১ এর সেই ঘটনা আমেরিকানদের অহংকারে আঘা’ত হে’নেছিল, আর করোনা ভাইরাস চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল বিশ্বের সবচেয়ে শ’ক্তিধর দেশটি একটি ক্ষুদ্র জী’বাণুর কাছে কত অসহায়!

অর্ধলাখ ছাড়িয়ে আমেরিকায় এখন মৃ’ত্যু’র স্রো’ত বইছে। সে কারণেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে এখন অন্যের কাছে হাত পাততে হচ্ছে চিকিৎসা সরঞ্জামের জন্য, ওষুধের জন্য। আমেরিকানদের মতো ইউরোপীয় দেশগুলোও আজ নাস্তানাবুদ। একসময় যু’দ্ধবি’ধ্ব’স্ত আফগানিস্তান, ইরাক, ফিলিস্তিন ও সিরিয়ায় যু’দ্ধে প্রতিদিনকার মৃ’ত্যু ছিল ইউরোপীয়দের কাছে সংখ্যার হিসাব। সেই সংখ্যা আজ তাদের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিচ্ছে।

ইউরোপ যেন মৃ’ত্যু উপত্যকা, সংখ্যা ছাড়া আর কিছুই তারা বলতে পারছে না। কোন ওষুধ নেই, প্রতিষে’ধক নেই। শুধুই মৃ’ত্যুর অপেক্ষা! তাই তো চিকিৎসায় সর্বাধুনিক দেশগুলোও এখন বলতে বাধ্য হচ্ছে আমরা অসহায়, শুধু ঐশ্বরিক ইচ্ছাই পারে আমাদের বাঁচাতে। কিন্তু করোনা ভাইরাস কি আসমান থেকে এসেছে, না মানুষেরই কর্মের ফল?

বিশ্ববিখ্যাত পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বলেছিলেন, ”বিশ্বে এমন নতুন কিছু আসতে চলেছে যা পৃথিবীর ধ্বং’সের কারণ হতে পারে। সময় যত এগোবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি তত উন্নত হবে। ফলে পারমাণবিক যু’দ্ধ, বিশ্ব উষ্ণায়ন ও জেনেটিকালি ইঞ্জিনিয়ারড ভাইরাস বাড়বে। আর এসবের ফলে ধ্বং”স হতে পারে পৃথিবী।”

অর্থাৎ করোনা ভাইরাস মানুষেরই কোনও গবেষণার ফল হতে পারে। সেই ইঙ্গিতই দিয়েছিলেন হকিং। ইতিমধ্যে কিছু প্রমাণও আসছে যে, চীনের উহানের সেই ল্যাব থেকেই করোনা ভাইরাসের যাত্রা। যেখানে বি’প’জ্জনক সব ভা’ইরাস নিয়ে গবেষণা হতো।

করোনাভাইরাস এ বিশ্বকে বি’প’র্যয়ের কোন প্রান্তে নিয়ে যায় তা বলা মুশকিল। কারণ এটি এমন একটি অদৃশ্য শ’ত্রু, যা খুব সহজে বিদায় নেবে না। যুক্তরাষ্ট্রের বিজ্ঞানীরা বলছেন, করোনা দীর্ঘমেয়াদে থাকবে। অর্থাৎ হাজার হাজার মৃ’ত্যু এখন আমাদের প্রতিদিনের পরিচিত সংখ্যা হয়ে উঠছে। এ থেকে বাঁ’চার বড় উপায় মানুষের চিন্তা ও কর্মের পরিবর্তন।

ad

পাঠকের মতামত