316481

সুস্থ হয়ে ওঠা করোনা রোগীর রক্তের প্লাজমা নতুন রোগীর চিকিৎসায় ভূমিকা রাখছে

ডেস্ক রিপোর্ট।। ব্রিটিশ ফার্মালজিকাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট স্যার মুনির পির মোহাম্মেদ বলেন,করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা রোগীদের শরীরে তৈরি হয় ভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি। সেই অ্যান্টিবডি রয়ে যায় তাদের রক্তের প্লাজমায়। সুস্থদের প্লাজমাতে থাকা অ্যান্টিবডি আলাদা করে আক্রান্তদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়।দ্য গার্ডিয়ান।

এ পদ্ধতিতে বৃটেনে অন্তত ১০ জন জটিল রোগীকে চিকিৎসা দিয়ে খুব ভালো ফলাফল পাওয়া গেছে। তাদের ৪২ বছরের একজন রোগী যে ভেন্টিলেটর ছাড়া শ্বাস নিতে পারতেন না, তিনি এখন নিজে নিজে শ্বাস নিতে পারছেন।

তিনি জানান,ভ্যাকসিন আসতে যখন আরো কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হবে, গবেষকরা এই থেরাপি দিয়ে ক্রিটিকাল রোগীদের বাঁচানোর আশা দেখতে পাচ্ছেন।

থেরাপিটির পূর্ণ নাম ‘Convalescent Plasma Therapy’। ‘Convalescent’ অর্থ সুস্থ হয়ে ওঠা রোগী। এটি বেশ পুরোনো থেরাপি। ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু’র সময় প্রথম এর ব্যাপক ব্যবহার শুরু হয়। এর পর ষাটের দশকের ফ্লু, গত দশকের সার্স, ইবোলা ভাইরাসের প্রকোপ মোকাবেলা করতেও থেরাপিটির প্রয়োগ হয়েছিল।

এদিকে নিউ ইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালও ব্যাপকভাবে রোগীদের ওপর প্লাজমা থেরাপি প্রয়োগের খবর জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ‘National COVID-19 Convalescent Plasma Project’ নামে কনসোর্টিয়াম গঠন করে তাদের ২২টি রাজ্যের ৪০টি সেরা মেডিকেল ইনস্টিটিউটে বিষয়টির ওপর একসাথে কাজ করছে। তাদের উদ্দেশ্য প্লাজমা থেরাপি দিয়ে ক্রিটিকাল রোগীদের জীবন বাঁচানো এবং একই সাথে যারা ফ্রন্টলাইনে আছে অর্থাৎ ডাক্তার-নার্স বা অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী তাদের শরীরে অ্যান্টিবডি দিয়ে আগে থেকেই প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা।

মাউন্ট সিনাই হসপিটালের ক্লিনিকাল ল্যাবরেটরি ও ট্রান্সফিউশন বিভাগের মেডিকেল ডিরেক্টর ড. জেফরি ঝ্যাং বলেন, আমাদের অনেক রোগী আছে যাদের অবস্থা খুবই খারাপ, প্রাণপণে চাচ্ছি যেন এই ট্রিটমেন্ট তাদের ওপর কাজ করে।দ্যা টেলিগ্রাফ

ad

পাঠকের মতামত