করোনা: মৃত ৯০ হাজার, আক্রান্ত ১৫ লাখ, সুস্থ সাড়ে ৩ লাখ
ডেস্ক রিপোর্ট।। বিশ্বজুড়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর মৃত্যুবরণ করেছেন ৮৯ হাজার ৯০০ মানুষের বেশি। আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ লাখের বেশি। সুস্থ হয়ে উঠেছেন প্রায় ৩ লাখ ৪০ হাজার। সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইতালিতে। জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অনুসারে, বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত সেখানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৭ হাজার ৬৬৯ জন। এছাড়া, দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৩৯ হাজারের বেশি। আক্রান্তের হিসাবে বিশ্বের মধ্যে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশটি। ১ লাখ ৫২ হাজার ৪৪৬ জন আক্রান্ত নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে স্পেন।
তবে প্রথম স্থানে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে এই দুই দেশে ব্যবধান বিশাল। এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ লাখ ৩২ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে, সুস্থ হওয়ার তালিকার শীর্ষে রয়েছে চীন। ভাইরাসটির উতপত্তিস্থল হলেও এটি নিয়ন্ত্রণে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখেছে চীন। বুধবার দেশটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেখানে নতুন করে কোনো মৃতের ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া, উৎপত্তিস্থল উহান থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে লকডাউনও। এখন পর্যন্ত চীনে সরকারি হিসাবে আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৮৮৩ জন। তবে এই হিসাবে গত সপ্তাহ পর্যন্ত উপসর্গহীন আক্রান্তদের যোগ করা হয়নি। তাই অনেকে আশঙ্কা করছেন আক্রান্তের প্রকৃত সংখ্যা আরো অনেক বেশি হতে পারে। এদিকে, দেশটিতে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৭৭ হাজার ৬৭৯ জন। মারা গেছেন ৩ হাজার ৩৩৯ জন।
জন হপকিন্স অনুসারে, করোনায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে যথাক্রমে ইতালি (১৭,৬৬৯ জন), স্পেন (১৫,২৩৮ জন), যুক্তরাষ্ট্র (১৪,৮২৯ জন), ফ্রান্স (১০,৮৬৯ জন) ও বৃটেনে (৭,০৯৭ জন)। আক্রান্তের দিক দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন ও ইতালির পরে রয়েছে যথাক্রমে জার্মানি (১,১৩,২৯৬ জন) ও ফ্রান্স (৮৩,০৮০ জন)। সুস্থ হওয়ার তালিকায় চীনের পর রয়েছে যথাক্রমে স্পেন (৫২,১৬৫ জন), জার্মানি (৪৬,৩০০ জন), ইরান (৩২,৩০৯ জন) ও ইতালি (২৬,৪৯১ জন)।
মহাদেশ হিসেবে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে ইউরোপে। সেখানে ইতালি, স্পেন, জার্মানি ছাড়াও নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম ও সুইজারল্যান্ডেও দিন দিন বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে তুলনামূলকভাবে জার্মানিতে মৃতের হার কম।
এদিকে, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত সরকারি হিসাবে মারা গেছেন ২১ জন। আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩০ জন ও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩৩ জন। অন্যদিকে প্রতিবেশি দেশ ভারতে ভারতে মারা গেছেন ১৮৬ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ২৩৭ জন ও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৬৯ জন। পাকিস্তানে মারা গেছেন ৬৩ জন, আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৪৫৭ জন ও সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭২ জন।