301688

অনেক মানুষ মিন্নিকে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়েছে : মিন্নির বাবা

জেলা প্রতিনিধিঃ উচ্চ আদালতের আইনজীবীদের পরামর্শ এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বরগুনা ফিরেছেন বহুল আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি নিহত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। রোববার বিকেলে ঢাকার সদরঘাট থেকে লঞ্চে যাত্রা শুরু করে সোমবার সকাল ৭টার দিকে বরগুনা এসে পৌঁছান মিন্নি। যাত্রাপথে মিন্নির সঙ্গে ছিলেন তার বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। বরগুনা পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গেই বাবার সঙ্গে বরগুনা পৌরসভার মাইটা এলাকার বাসায় চলে যান মিন্নি।

বাসায় যাওয়ার আগে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ শেষে চিকিৎসকদের পরামর্শে মিন্নিকে নিয়ে বেড়াতে গিয়েছিলাম হবিগঞ্জে। যাত্রাপথে অনেক মানুষের সঙ্গে দেখা হয়েছে, অনেক মানুষের সঙ্গে কথা হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা যেখানেই যাই সেখানেই মানুষের মধ্যে আন্তরিকতা দেখতে পাই। অনেক মানুষ মিন্নিকে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে, আমাকে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে। মিন্নির কারামুক্তির জন্য অনেক মানুষ রোজা মানত করেছে। মিন্নিকে নিয়ে ষড়যন্ত্র হয়েছে এটা তারা বুঝতে পেরেছে। তারা সবাই আশাবাদী মিন্নিকে আর কেউ আটকাতে পারবে না।

উচ্চ আদালতের আইনজীবীদের উদ্ধৃতি দিয়ে মোজাম্মেল হোসেন কিশোর বলেন, আইনজীবীরা সর্বোচ্চ আইনি লড়াই করে মিন্নিকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন। রিফাত হত্যা মামলায় মিন্নিকে কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় পরিকল্পিতভাবে আসামি করা হয়েছে। এজন্য আইনজীবীরা আইনের মাধ্যমে মিন্নিকে নির্দোষ প্রমাণ করবেন। যাদের জন্য মিন্নির এমন পরিণতি তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন আইনজীবীরা।

উল্লেখ্য, গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয় রিফাত শরীফকে। স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও সন্ত্রাসীদের ঠেকাতে পারেননি। গুরুতর অবস্থায় রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রিফাত শরিফের মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ ও পাঁচ-ছয়জনকে অজ্ঞাত করে বরগুনা থানায় মামলা করেন।

পরে ১৬ জুলাই সকাল পৌনে ১০টায় মিন্নিকে তার বাবার বাড়ি বরগুনা পৌর শহরের নয়াকাটা-মাইঠা এলাকা থেকে পুলিশ লাইন্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ৯টায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরপর গত ২৯ আগস্ট দুই শর্তে মিন্নির জামিন মঞ্জুর করেন হাইকোর্ট। গত ৩ সেপ্টেম্বর মিন্নি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান।

ad

পাঠকের মতামত