300388

২৫ বছরেও বেতন জোটেনি প্রতিবন্ধী শিক্ষিকার ভাগ্যে

২৫ বছর ধরে শিক্ষকতায় আছেন প্রতিবন্ধী কোহিনুর আখতার বিউটি। বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার ছাতিনগ্রাম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জীববিজ্ঞান পড়ান তিনি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় বিনা বেতনে এ পেশায় আছেন। তার বাড়ি আদমদীঘির ছাতিয়ানগ্রামে। বাবা মোতাহার হোসেনের সংসারে চার ছেলে-মেয়ে। সবার বড় বিউটি।

জন্ম থেকেই দুই পায়ের হাটু নড়াচড়া করতে না পারায় (ফিক্সড হওয়ায়) লাঠিতে ভর করে হেলেদুলে চলেন। শারীরিক প্রতিবন্ধী হলেও মনে তার অদম্য মেধা শক্তি। ১৯৮৬ সালে এসএসসি, ১৯৮৯ সালে এইচএসসি ও ১৯৯৪ সালে ডিগ্রী পাশ করেছেন। এর পর আর কোথাও চাকরির চেষ্টা না করে মামা লুৎফর রহমান সরকারের জমিতে প্রতিষ্ঠিত বালিকা বিদ্যালয়ে ১৯৯৫ সালে যোগ দেন।

২০০২ সালে প্রাথমিকভাবে বিদ্যালয়টি ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত এমপিওভুক্ত করা হয়। এরপর থেকে ছয়জন শিক্ষক ও তিনজন কর্মচারী বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন। কিন্ত নবম ও দশম শ্রেণিতে এমপিও না হওয়ায় বেতন জোটেনি বিউটির ভাগ্যে।

প্রতিবন্ধী শিক্ষিকা কোহিনুর আখতার বিউটি আক্ষেপ করে বলেন, ২৫ বছর ধরে বিনা বেতনে পড়াচ্ছি। আর কতোদিন বিনা বেতনে পড়াতে হবে তা জানি না। তবে প্রতিবছর এসএসসির ফলাফল ভালো হলেও কেনো নবম-দশম শ্রেণিতে এমপিও হলো না এটা ভাবতে অবাক লাগে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম জানান, এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী আছে ২৩০ জন। সাতটি কক্ষ আছে। তিনটি কক্ষ আধা পাকা। বর্ষা মৌসুমে এসব কক্ষে টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে।

আদমদীঘি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহাবুবুল হোসেন জানান, বিদ্যালয়ে ভবন নির্মাণের জন্য টেন্ডার হয়েছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এছাড়া নবম-দশম শ্রেণিতে এমপিও করার জন্য আবেদন পাঠানো হয়েছে। আশা করা যায় অচিরেই বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হবে।

ad

পাঠকের মতামত