296231

এবার সেই ডা. মৌমিতা ও তুষারকে একহাত দিলেন মাশরাফির ভাই

গেল শনিবার এক ঝটিকা সফরে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে হাজির হন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষদের কাছ থেকে নানা সমস্যার কথা শোনেন তিনি।খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র একজন ডাক্তার।মাশরাফি আরও জানতে পারেন, ছুটি ছাড়াই একজন চিকিৎসক তিন দিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন! ক্ষিপ্ত হয়ে রোগী সেজে ওই চিকিৎসককে ফোন করেন মাশরাফি নিজেই। ওই চিকিৎসক রোগীকে অর্থাৎ মাশরাফিকে বলেন রবিবার হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে।

এ সময় নিজের পরিচয় দিয়ে সেই ডাক্তারকে তার কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে আসার নির্দেশ দেন মাশরাফি। হাসপাতালে মাশরাফির ঝটিকা সফর ও চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনালাপের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। অনেকে সাংসদ মাশরাফির এমন কাণ্ডে বাহবা দিলেও অনেকেই তার সমালোচনা করেন।

সমালোচকদের এই তালিকায় রয়েছেন ড. আব্দুন নূর তুষার এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিলের মেয়ে ডা. মৌমিতা জলিল জুঁই। সমালোচনার জবাবে অবশ্য এখন পর্যন্ত কোনো কথাই বলেননি মাশরাফি।কিন্তু তার ছোট ভাই মোরসালিন বিন মুর্তজা চুপ করে থাকেননি। সমালোচকদের জবাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন তিনি।পাঠকদের জন্য মাশরাফির ভাইয়ের সেই ফেসবুক পোস্টটি হুবহু তুলে দেওয়া হলো—

ডা: মৌমিতা, একজন বিসিএস (ক্যাডার)। মাশরাফি বিন মোওর্জার শিক্ষাগত যোগ্যতা কিন্তু আপনার থেকে অনেক খানি কম। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন বিভাগে ভর্তি হয়ে খেলাধুলার কারণে পড়ালেখা ভালো ভাবে করতে পারেন নাই। কিন্তু তিনি সরকারি হাসপাতালের একজন কর্তব্য বিমুখ ডা: কে ফোন করে, স্যার বলে ডেকে তার কাছে ৩ দিন অনুপস্থিত থাকার কারন জানতে চেয়েছেন। যেটার অধিকার তার আছে। তিনি কথা বলা কালিন সব থেকে খারাপ ভাবে যে কথাটি বলেছেন সেটি হল “আপনি কি ফাজলামি করেন।” অথচ আপনি একজন বিসিএস ক্যাডার হয়ে একজন সাংসদ সদস্য কে গালি দেন “কুত্তার বাচ্চা” বলে। এই হলো আপনার পড়ালেখা করার ফল।

জনাব, আবদুর নুর তুষার স্যার, আপনি অনেক কথা লিখেছেন যেগুলি আমার মাথার ওপর দিয়ে গেছে। তবে এতটুক বুঝেছি আপনি ডাক্তারদের পক্ষ নিয়ে কথা বলছেন। নিজ পেশার ভাইদের পক্ষ নেওয়া উচিত। তাই বলে আপনি অন্যায়ের পক্ষ নিয়ে কথা বলবেন? ম্যাচ হারার কারনে বাংলাদেশ টিমকে যখন অকথ্য ভাষায় গালি দেওয়া হয় (এমনকি তাদের পরিবারকেও) তখন বাংলাদেশের সকল জেলার খেলোয়াড়রা যদি প্রতিবাদ করে! কেমন হবে?? করে না। গালিটাও মাথা নিচু করে মেনে নেয়। অন্যায়ের পক্ষ নিয়েন না।

ad

পাঠকের মতামত