296174

‘মাশরাফির সমালোচনা করিনি, বলেছি ডাক্তাররা ফাজিল’

হাসপাতালে ঝটিকা সফরে টাইগারদের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার সঙ্গে চিকিৎসকের ফোনালাপ। পরে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। অনেকে সাংসদ মাশরাফির এমন কাণ্ডে বাহবা দিলেও অনেকেই তার সমালোচনা করেন। তবে তার সমালোচনা করতে গিয়ে উল্টো নিজেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ডা. আব্দুন নূর তুষার।

এবার সেই সমালোচনার জবাব দিয়েছেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ও নাগরিক টিভির এই প্রধান নির্বাহী। তার দাবি, তিনি মাশরাফির বিরুদ্ধে কোনো কথা বলেননি। উল্টো মাশরাফির সমালোচনাকারীদের ‘গোমূর্খ’ বলে উল্লেখ করেছেন তিনি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আরেকটি স্ট্যাটাস দেন এই গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। ওই পোস্টে তুষার লিখেন, ‘কিছু গোমুর্খ বলার চেষ্টা করছে আমি মাশরাফির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। মোটেও না। আমি বলেছি ডাক্তাররা ফাজিল, তাদেরকে থাপড়ায়ে সোজা করা দরকার। আমি কেবল কিছু প্রশ্ন তাকে সংসদে করতে বলেছি যাতে সমস্যার সমাধান হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ সদস্য তো মাশরাফি, আমি না। প্রশ্নগুলো তিনি করতে পারবেন বলে আমি বিশ্বাস করি। নাহলে দেখা যাবে কিছু সাসপেন্ড হলে আরও কিছু ডাক্তার আসবে। তারাও সাসপেন্ড হবে। সমাধান হবে না। আমি তো বলেছি আমার দোয়া তার প্রতি, তিনি যাতে আরও বড় হন এবং প্রশ্নগুলো করতে পারেন।’ পেশায় চিকিৎসক তুষার বলেন, ‘আর কেউ পারলে তো আর তাকে বলতাম না। গোমুর্খদের জন্য দোয়া। তারা বাংলা পড়ে অর্থ বুঝতে পারুক। তাদের বুদ্ধি হোক। মাশরাফির জন্য চিরকালই দোয়া। সে সুস্থ থাকুক, আদর্শ নড়াইল আদর্শ দেশ গড়ুক।’

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে হাসপাতালে চিকিৎসক, যন্ত্রাংশ সংকটসহ চিকিৎসকদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরে মাশরাফিকে সংসদে প্রশ্ন করার পরামর্শ দেন তুষার। তিনি জানান, মেরুদণ্ডহীন চিকিৎসক সমাজকে ওএসডি করা যত সহজ, রোগীর জন্য সেবা নিশ্চিত করা ততটা সহজ নয়। এই ঘটনায় উল্টো সমালোচনার মুখে পড়েন এই গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব। এর আগে গত শনিবার এক ঝটিকা সফরে নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে হাজির হন মাশরাফি বিন মুর্তজা। সেখানে চিকিৎসা নিতে আসা মানুষদের কাছ থেকে নানা সমস্যার কথা শোনেন তিনি। খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করছেন মাত্র একজন ডাক্তার।

মাশরাফি আরও জানতে পারেন, ছুটি ছাড়াই একজন চিকিৎসক তিন দিন ধরে অনুপস্থিত রয়েছেন! এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রোগী সেজে ওই চিকিৎসককে ফোন করেন মাশরাফি নিজেই। ওই চিকিৎসক রোগীকে অর্থাৎ মাশরাফিকে বলেন রোববার হাসপাতালে এসে চিকিৎসা নিতে। এ সময় নিজের পরিচয় দিয়ে ওই ডাক্তারকে তার কর্তব্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে দ্রুত কর্মস্থলে ফিরে আসার নির্দেশ দেন মাশরাফি।

এর পরেই চিকিৎসকের সঙ্গে ফোনালাপের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পেতেই শুরু হয় তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। সমালোচকদের এই তালিকায় ছিলেন ডা. আব্দুন নূর তুষার ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত আব্দুল জলিলের মেয়ে ডা. মৌমিতা জলিল জুঁই।

ad

পাঠকের মতামত