274332

ক্যান্সারের মত ভয়াবহ সমস্যার ক্ষেত্রেও ওষুধের মত কাজ করে ননী ফল, জানুন এই ফলের ১০টি অজানা উপকারিতা

স্বাস্থ্য যেস্ক।। ওপরের লেখা দেখে নিশ্চয়ই ভাবছেন এটা আবার কি ফল।নামও শোনেননি নিশ্চয়ই কেউ কেউ।নাম না জানলেও,এই ফলের রয়েছে কিছু অসাধারণ উপকারিতা যেগুলো আমাদের বেঁচে থাকার জন্য অপরিহার্য।সেরমই কিছু গুণ রয়েছে এই ফলের যেগুলো আমরা জানিই না।চলুন দেখে নেওয়া যাক আমাদের কি কি উপকার করে এই ননীফল।

১. হাড়ের সমস্যায় : হাড়ের সমস্যার ক্ষেত্রে ননী ফলের রস খুব উপকারী।এমনটাই মনে করছেন ফরটিস্ হসপিটালের চিকিৎসক ডক্টর আহুজা।তাঁর দাবী যারা হাড়ের সমস্যায় ভুগছেন,গাঁটে গাঁটে ব্যথা,তাদের ক্ষেত্রে এই ফল খুব উপকারী।তারা যদি রোজ এই ফলের রস বা শরবত খেতে পারেন,তাহলে খুব তাড়াতাড়ি ভালো ফল পাবেন।ব্যথা থেকে অনেকটাই মুক্তি পাবেন।তীব্র হাঁটুর যন্ত্রনায় যারা ভুগছেন,তাদের এই ননী ফলের শরবত খাওয়ার কথা বলেন তিনি।আর্থ্রারাইটিসের সমস্যায় ভোগা রুগীদের ক্ষেত্রে এই ননী ফল কিন্তু আশীর্বাদ স্বরূপ।

২. ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা : অনেকের শরীরেই ইউরিক অ্যাসিড বেশী থাকে।অর্থাৎ ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে যায় যেটার কারণে নানান সমস্যা হয়।হাঁটুতে প্রচণ্ড ব্যথা থাকে।এছাড়াও আরও নানান সমস্যায় পড়তে হয়।এই বিরক্তিকর সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যে কতটা কঠিন যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারাই জানেন। সবসময় ওষুধ খেয়ে যেতে হয়।কিন্তু এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে ননী ফল যেটা ইউরিক অ্যাসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে।

৩. এনার্জি বাড়াবে ননী : এনার্জি কমে যাচ্ছে?যখন তখন ক্লান্তি অনুভব করছেন?তাহলে খান ননী ফলের শরবত বা রস।ব্যাস,দেখবেন ক্লান্তি যেন কোথায় উধাউ।কারণ এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিনস।এক চুটকিতে শরীরের ক্লান্তি দূর করতে ননী ফল কিন্তু দুর্দান্ত যেটা শারীরিক ও মানসিক দুই ধরণের ক্লান্তিই কমায়।এনার্জি লেবেল বাড়ায় ও শারীরিক বিভিন্ন ক্রিয়াগুলিকে উন্নত করতে সাহায্য করে,বলছেন বৈদ্যনাথের ক্লিনিক্যাল অপারেশন ম্যানেজার ডক্টর আশুতোষ গৌতম।

৪. স্ক্যাল্প ইরিটেশন ? আছেই তো ননী : মাথায় হোক চুলকানি বা অন্যান্য সমস্যা,সমস্ত সমস্যার ক্ষেত্রেই ননী ফল খুব ভালো।স্ক্যাল্পের যেকোনো ইরিটেশন যেমন চুলকানি,ফুসকুড়ি,এমনকি খুশকির মত সমস্যাও কমাতে সক্ষম এই ননী ফল।কারণ এতে আছে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ যা স্ক্যাল্পের এই ধরণের সমস্যার ক্ষেত্রে বেশ ভালো কাজ করে।তাই স্ক্যাল্পকে ভালো রাখতে খেতেই পারেন ননী।

৫. ক্যান্সারের ওষুধ ননী : বর্তমান বিভিন্ন স্টাডি বলছে,ক্যান্সারের মত ভয়াবহ সমস্যার ক্ষেত্রেও ওষুধের মত কাজ করে ননী ফল।কারণ এতে আছে ক্যান্সার ফাইটিং নিউট্রিইয়েন্ট এবং টিউমার ফাইটিং উপাদান।বিশেষত ব্রেস্ট ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এটা বেশ ভালো ফল দেখিয়েছে।

৬. বডি ইমিউনিটি বাড়াবে : বডির ইমিউন সিস্টেমকে উন্নত করতে খান ননীর রস।প্রতিদিন যদি ননীর রস খাওয়া যায়,তাহলে বিভিন্ন রোগ থেকে থাকবেন অনেক দূরে।কারণ এতে থাকা অ্যান্টি-ফাঙ্গাল,অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান।শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়।শরীরকে যেকোনো রকম ব্যাকটেরিয়া,ভাইরাসের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে।তার ফলে শরীর থাকে সুস্থ।এবার নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন,সারাবছর সুস্থ থাকতে ননী কতটা উপকারী।

৭. খুব স্ট্রেস ? তাহলে ননী উপযুক্ত: শরীরের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধ করার সাথে সাথে,স্ট্রেস কমাতেও ননী কিন্তু জাস্ট অসাধারণ কাজ করে।বিভিন্ন রিসার্চ থেকে এটা দেখা গেছে,ননী ফল মানসিক স্ট্রেস কমাতে বেশ সাহায্য করে।সঙ্গে মানসিক ভারসাম্যকে উন্নত করে।মানসিক স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে সাহায্য করে।অর্থাৎ শরীরের সাথে সাথে মনকেও ভালো রাখতে ননী খেতেই হবে বলুন?

৮. সর্দি কাশিতে : খুব ঠাণ্ডা লাগার ধাত?তাহলে খান ননী ফল।আস্তে আস্তে এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন।কারণ এতে আছে অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান।তাই সর্দি,কাশি,জ্বর এসব সমস্যা থেকে অনেকটাই দূরে রাখতে সক্ষম ননী।

৯. হেলদি স্কিন পেতে ননী : এ তো গেল শারীরিক সমস্যা,এবার বলি স্কিনের কথা।আরে শরীরের সাথে সাথে স্কিনকেও তো হেলদি গ্লোয়িং রাখতে হবে নাকি।ঠিক এই কাজটাই করে ননী ফল।স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখে,হাইড্রেটেড রাখে।শুকিয়ে যেতে দেয় না।স্কিনের ময়েশ্চারকে হারিয়ে যেতে দেয় না।এই ফলের রস স্কিনে লাগাতে পারলে খুব ভালো।নাহলে খেলেও একই কাজ হবে।বিশেষত যাদের শুষ্ক ত্বক,তাদের ক্ষেত্রে এই ফল খুব ভালো কাজ করবে স্কিন ঠিক রাখতে।

১০. স্কিনের বয়সকে ধরে রাখবে ননী : স্কিনকে ময়েশ্চারাইজড রাখার সাথে সাথে,ননী ফলের আরেকটা খুব ভালো গুণ হল অ্যান্টি-এজিং হিসাবে কাজ করে।স্কিনকে রাখে টানটান,সতেজ।কারণ এতে আছে ভিটামিন সি ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।তাই ত্বকের বয়সকে ধরে রাখতে ননী ফল খাওয়া শুরু করুন। কি অবাক করে দিলাম তো?অজানা এই ফলেরও এত গুণ।তাহলে শরীরকে ভালো রাখতে এবার সন্ধান করুন ননী ফলের।

ad

পাঠকের মতামত