239991

ভোটের মাঠে রাঙ্গার স্ত্রী-মেয়ে

রংপুর-১ (গঙ্গাচড়া ও আংশিক সিটি) আসনে লাঙলের প্রার্থী ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গার জন্য ভোট চেয়ে গণসংযোগ করছেন তার মেয়ে তাসলিমা আক্তার জুঁই।১২ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী এলাকার অলিগলি থেকে পাড়া-মহল্লায় মা রাকিবা নাসরিনকে সঙ্গে নিয়ে ছুটছেন তিনি। এ সময় গত পাঁচ বছরের উন্নয়ন তুলে ধরে ভোটারদের কাছে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চাইছেন মা-মেয়ে।মঙ্গলবার বৃষ্টি বিঘ্নিত আবহাওয়া উপেক্ষা করেও তার মাকে নিয়ে গঙ্গাচড়ার বেশ কয়েকটি গ্রামে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করেছেন তাসলিমা। সাধারণ নারী ভোটারদের কাছে আকর্ষণে পরিণত হয়েছেন তিনি। এ কারণে প্রতিটি বৈঠক আর পথসভাতে কথা বলার সুযোগ হচ্ছে তার।

জুঁই বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও গঙ্গাচড়া একটি অবহেলিত এলাকা ছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার মহাজোট সরকারের আমলে গঙ্গাচড়া উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। আমার বাবা প্রতিমন্ত্রী হওয়ার পরও ঢাকাতে পড়ে থাকেননি। সময় পেলেই আপনাদের পাশে ছুটে এসেছে। আপনাদের উন্নয়নে কাজ করেছে।’তিনি আরো বলেছেন, ‘তিনি (রাঙ্গা) আমাদেরকে সময় না দিয়ে আপনাদেরকে সময় বেশি দিয়েছেন। এজন্য তাকে (রাঙ্গাকে) সবার ধন্যবাদ দেয়া দরকার। তাই এ ধন্যবাদ ব্যালেটের মাধ্যমে দিতে হবে। উন্নয়নের জন্য আবারও তাকে নির্বাচিত করতে হবে। মহাজোটের প্রার্থী রাঙ্গা সাহেবকে লাঙ্গলে বিজয়ী করলে গঙ্গাচড়ার উন্নয়নের ধারা আরো গতিশীল হবে।’

রাঙ্গার সহধর্মিনী রাকিবা নাসরিন বলেন, ‘মহাজোট সরকারের আমলে গঙ্গাচড়ায় ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এ উন্নয়ন আরও বেগবান করতে মহাজোট প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। এ আসনে রাঙ্গা বিজয়ী হলে অতীতের মত সবসময় সবার পাশে থাকবেন।’২ লাখ ৮৭ হাজারেরও বেশি ভোটারের এ আসনে মহাজোট থেকে মসিউর রহমান রাঙ্গা (লাঙ্গল) ছাড়াও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু (মটর কার), জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট মনোনীত নাগরিক ঐক্যের প্রার্থী শাহ্ মো. রহমতুল্লাহ্ (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলনের মোক্তার আলী (হাতপাখা), ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির ইশা মোহাম্মদ সবুজ (আম) এবং আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী সিএম সাদিক সিংহ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন।২০১৪ সালের নির্বাচনে এ আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন মসিউর রহমান রাঙ্গা। এর আগে ২০০১ সালের নির্বাচনেও লাঙ্গল প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন তিনি।

ad

পাঠকের মতামত