
যে কারণে পেছালো খালেদা জিয়ার জামিন আদেশ
আবারও পিছিয়েছে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বিষয়ে আদেশ। সোমবার পুনরায় দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
রবিবার (১১ মার্চ) এ বিষয়ে আদেশ দেয়ার দিন ধার্য থাকলেও আদালতের কাছে নথি পাঠানোর ১৫ দিন সময় শেষ হয়নি- এ কারণ দেখিয়ে আদেশের দিন পেছানো হয়।
রবিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈতবেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিকে নিম্ন আদালত থেকে থেকে খালেদা জিয়ার মামলার নথি রোববার বেলা ১২টার দিকে হাইকোর্টে পাঠানো হতে পারে। ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের পেশকার মোকারম হোসেন এ কথা জানিয়েছেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ বিএনপি নেত্রীর জামির আবেদনের ওপর শুনানি হয়। সেদিন আদেশ না দিয়ে নথি দেখে সিদ্ধান্ত জানানোর কথা বলেন দুই বিচারপতি।
এর আগে ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের একই বেঞ্চ খালেদা জিয়ার করা আপিল গ্রহণ করে ১৫ দিনের মধ্যে মামলার নথি পাঠানোর আদেশ দেন। সেই অনুযায়ী ৭ মার্চ সেই সময় শেষ হয়। তবে হাইকোর্টের আদেশের কপি বিচারিক আদালতে পৌঁছেছে ২৫ ফেব্রুয়ারি। সেই অনুযায়ী ১১ মার্চ রবিবার হচ্ছে ১৫ দিন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত। রায়ের পর খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারে নেয়া হয়। তিনি এখনো সেখানেই আছেন।
একই মামলায় খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ মামলার অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এদের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল এবং ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন কারাগারে আছেন। বাকি তিন জন তারেক রহমান, জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান এবং সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী পলাতক।
বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে আপিল করতে ১১ দিন লেগে যায় রায়ের অনুলিপি না পেতে বিলম্বের কারণে। ১৯ ফেব্রুয়ারি রায়ের অনুলিপি পাওয়ার পরদিন উচ্চ আদালতে আপিল করা হয় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে।
সূত্র: পূর্ব পশ্চিম