183168

বন্ধু তামিমের কাছে হেরে গেলেন সাকিব

বাংলাদেশের ক্রিকেটে তারা দুজন সবচেয়ে বড় তারকা। দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বটাও দারুণ।

বিপিএলে দুজন প্রতিপক্ষ; দুই দলের অধিনায়ক। আজ বুধবার বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্বের শেষ দিনের দ্বিতীয় তথা শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয় সাকিবের ঢাকা ডায়নামাইটস এবং তামিমের কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। সাইফ উদ্দিনের শেষ ওভারের ম্যাজিকে ১২ রানে বিজয় ছিনিয়ে নেয় তামিম ইকবালের দল। দিনের প্রথম খেলায় আজ হেরেছে স্বাগতিক চিটাগং ভাইকিংস। শেষ পর্যন্ত কানায় কানায় পূর্ণ মাঠে চট্টগ্রামের দর্শকদের আনন্দ উপহার দিলেন ঘরের ছেলে তামিম।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৬৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে কুমিল্লার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ঢাকা ডায়নামাইটস। দলীয় ১৩ রানেই এভিন লুইসকে (৬) লিটন দাসের গ্লাভবন্দি করেন শোয়েব মালিক। ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে গিয়ে আরও একটি উইকেট হারায় ঢাকা। ৯ রান করে রান-আউট হয়ে যান সাদমান ইসলাম।

দায়িত্ব নিতে পারেননি অধিনায়ক সাকিবও। ব্র্যাভোর বলে আউট হয়েছেন মাত্র ৭ রান করে।
ব্র্যাভোরই দ্বিতীয় শিকার হয়ে তার স্বদেশি সুনিল নারাইন আউট হয়ে যান ৫ রান করে। একপ্রান্ত আগলে থেকে লড়াই করা ওপেনার ড্যানলিকে মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন বোল্ড করে দিলে বিপদে পড়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ৩৯ বলে ৬ চার ২ ছক্কায় ৪৯ রান করেন ড্যানলি। বিপদের মুহূর্তে পোলার্ডের সঙ্গে জুটি বেঁধে লড়াই করতে থাকেন তরুণ মোসাদ্দেক। ১৩ বলে ১৭ রান করে তিনিও রান-আউট হয়ে যান।

২১ বলে ২৭ রান করা কায়রন পোলার্ডকে বোল্ড করে দিয়ে ঢাকার কফিনে শেষ পেরেকটা ঠুকে দেন ডোয়াইন ব্র্যাভো। সেই মুহূর্তে হাসান আলীর করা ১৯তম ওভারে পরপর তিনটি বাউন্ডারি মেরে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন জহুরুল ইসলাম। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ঢাকার দরকার ছিল ২১ রান। কিন্তু সেই সমীকরণ মেলাতে পারেননি ঢাকার ব্যাটসম্যানরা। তৃতীয় বলেই মারমুখী জহুরুলকে (১৭) বোল্ড করে দেন সাইফ উদি্দিন। স্লগ ওভারে বেদম মার খেয়ে দুর্নাম অর্জন করা সাইফ উদ্দিনই আজ বল হাতে চিটাগংকে জয়ের বন্দরে নিয়ে যান।

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ৬ উইকেটে ১৬৭ রান তোলে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং লিটন দাস মিলে ৬০ রানের উদ্বোধনী জুটি উপহার দেন। কোনোমতেই জুটিতে ভাঙন ধরাতে পারছিলেন না ঢাকার বোলাররা। শেষ পর্যন্ত প্রিয়বন্ধু বলে খ্যাত ঢাকা অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের ঘূর্ণিতে ক্যাচ দেন কুমিল্লা অধিনায়ক তামিম। গতকালই অপরাজিত হাফ সেঞ্চুরি করা তামিম আজ ২৩ বলে ৩৭ রান করেন।

কুমিল্লার দুর্গে দ্বিতীয় আঘাতটাও হানেন সাকিব। তার বলে ৩০ বলে ৩ বাউন্ডারিতে ৩৪ রান করা ওপেনার লিটন দাস উইকেটকিপার জহুরুলের গ্লাভসে ধরা পড়েন। দারুণ খেলতে খেলতে ২৪ বলে ২ চার ১ ছক্কায় ২৬ রান করা ইমরুল কায়েস কুপারের বলে পোলার্ডের তালুবন্দী হন। সেই মুহূর্তে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মারলন স্যামুয়েলস।

তার ২৭ বলে ৫ চার ২ ছক্কায় গড়া ৩৯ রানের ইনিংসটি থামে কুপারের করা ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে। পরের বলেই জশ বাটলারকে (৪) পোলার্ডের তালুবন্দি করেন কুপার। রান-আউটের শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ডোয়াইন ব্র্যাভো (৬)। শেষদিকে শোয়েব মালিক (৯*) আর হাসান আলীর (৮*) দুই ছক্কায় ১৬৭ রান সংগ্রহ করে তামিম ইকবালের দল।

ad

পাঠকের মতামত