183118

ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচটাও হারল চিটাগং ভাইকিংস

ঘরের ছেলে তামিম ইকবাল এবার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের অধিনায়ক। পয়েন্ট তালিকার দুই নম্বরে তাদের অবস্থান।

উল্টোদিকে খুবই খারাপ অবস্থা চিটাগং ভাইকিংসের। পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা দলটি রাজশাহী কিংসের কাছে আজ আবারও হেরেছে। রান তাড়া করতে নেমে মুস্তাফিজ-অনিকদের বোলিং দাপটে ১২৪ রানেই গুটিয়ে গেছে তারা। ঘরের মাঠে শেষ ম্যাচে ৩৩ রানের পরাজয় বরণ করে নিতে হয়েছে লুক রনচির দলকে।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৫৮ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় চিটাগং ভাইকিংস দলীয় ১৩ রানেই অধিনায়ক লুক রনচিকে (৮) মেহেদী মিরাজের তালুবন্দি করেন মোহাম্মদ সামি। এরপর জুটি গড়ার চেষ্টা করা সৌম্য সরকারকে ফেরান তারই এলাকার ক্রিকেটার ‘কাটার মাস্টার’ মুস্তাফিজুর রহমান। এনামুল হক বিজয়ও আজ বেশি রান করতে পারেননি। ফিরেছেন ২৩ রান করে। বিপিএলে অভিষিক্ত উসামা মির তার প্রথম শিকার ধরেন সিকান্দার রাজাকে (১৭) আউট করে।

এভাবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে চিটাগং। রান-আউট হয়ে যান লুইস রেইস (৩)। একপ্রান্ত আগলে লড়াই করা ভ্যান জাইলও ২৯ বলে ২৭ রান করে কাজী অনিকের শিকার হন। বিপিএল জুড়ে বেদম মার খাওয়া মুস্তাফিজ তার দ্বিতীয় শিকার ধরেন এমরিতকে (১) আউট করে। কাজী অনিকের তৃতীয় শিকার সানজামুল (১)। এরপর পরাজয় বরণ ছাড়া চিটাগংয়ের আর কিছু করার ছিল না।

টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার ৬ উইকেটে ১৫৭ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী কিংস। দলীয় ১০ রানেই তাসকিন আহমেদের বলে ভ্যান জাইলের তালুবন্দি হন ৯ বলে ৭ রান করা মুমিনুল হক। বিপিএলের শুরুতে দারুণ খেললেও গত কয়েক ম্যাচে রান পাচ্ছেন না মুমিনুল। এরপর ৩১ রানের জুটি গড়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন লুক রাইট এবং জাকির হাসান। জাকিরের ব্যাটে কিছু শটও দেখা যায়। তবে রেইসের বলে জাকির (১৭) বোল্ড হয়ে গেলে ভাঙে জুটি।

রাজশাহীর দূর্গে তৃতীয় আঘাত হানেন সানজামুল ইসলাম। তার বলে সিকান্দার রাজার তালুবন্দি হন ২১ বলে ২৫ রান করা ওপেনার লুক রাইট। এদিন অবশ্য ইনিংস বড় করার একটা চেষ্টা করেছিলেন মুশফিকুর রহিম। গোটা টুর্নামেন্টেই তার ব্যাটে রান নেই। আজ নাইম হাসানের বলে ২২ বলে ৩১ রান করে আউট হলেন।

রাজশাহীর ইনিংস দেড়শ পার করতে আরও অবদান আছে ফ্র্যাংকলিন এবং অধিনায়ক ড্যারেন স্যামির। ৩০ বলে ২ চারে ৩০ রান করে রেইসের শিকার হন ফ্র্যাংকলিন। একই বোলারের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে স্যামি ২৫ বলে ২ চার ৩ ছক্কায় ৪০ রানের একটি ঝড় বইয়ে দেন। নির্ধারিত ২০ ওভারে কিংসদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৬ উইকেটে ১৫৭ রান। চিটাগংয়ের হয়ে রেইস ৩ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন।

ad

পাঠকের মতামত