181208

বাংলাদেশের প্রথম দোকানদার বিহীন দোকান সততা স্টোর

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ আমিনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। একটি কক্ষে সাজানো খাতা কলমসহ বিভিন্ন পণ্য, যেখানে দরকষাকষির প্রয়োজন নেই। ক্রেতারা পণ্যের নির্দিষ্ট অর্থ প্রদান করে একটি বাক্সে। বিক্রেতাবিহিন দোকান থেকে পণ্য কিনে সততার পরীক্ষাই উত্তীর্ণ হতে চাই শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা তাদের অভিমত ব্যক্ত করে জানান, ‘আমরা যখন এখান থেকে কোন পণ্য ক্রয় করি তখন কোন পাহারাদার থাকে না। সততা স্টোর থাকায় আমাদের অনেক সময় বেঁচে যায়। এখান থেকে আমরা সততার শিক্ষা গ্রহণ করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে চাই।’

সততা স্টোরের মাধ্যমে শিশুদের মনে সততার বীজ বপনের এই উদ্যোগকে ইতিবাচক মনে করে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ শিক্ষক নুরুল আলম স্যার বলেন, ‘একাজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সততাকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যাবে।’

সততা স্টোরের মধ্যমে শিশুদের নৈতিকতার সুষ্ঠ্ব চর্চায় শিশুদের আগ্রহ বাড়ছে দাবি করে প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন উদ্যোগ ছড়িয়ে দেওয়া হবে।

এ প্রসঙ্গে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম গোলাম কিবরিয়া বলেন, আগামী দিনের নাগরিক হিসেবে তারা যেন সততা নিয়ে বেড়ে ওঠতে পারে সেই জন্য আমরা এই উদ্যোগ হাতে নিয়েছি।’

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক গৌতম চন্দ্র পাল বলেন, ‘জেলার সকল স্কুলে এই উদ্যোগ গড়ে তুলবো। যাতে শিশুরা তাদের নৈতিক চর্চা মধ্যমে সফল নাগরিক হতে পারে।’

দুর্নীতি দমন কমিশনের সার্বিক সহায়তায় গাইবান্ধাসহ উত্তরের জনপদ রংপুর বিভাগের চার জেলায় ৩৭ টি বিদ্যালয়ে সততা স্টোর চালু করা হয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত