179921

এ কেমন শত্রুতা!

ভোলা সদর উপজেলার ৩নং পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নের মালেরহাট সংলগ্ন চর পাঙ্গাশিয়া গ্রামের দিনমজুর সেলিম হাওলাদারের দরজায় কাটা তারের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে রেখেছে স্থানীয় ভূমিদস্যু লালমিয়া বারই।

জানা গেছে, পশ্চিম ইলিশা চর পাঙ্গাশিয়া গ্রামের দিনমজুর মৃত বেলায়েত মিয়ার ছেলে সেলিম হাওলাদার দীর্ঘদিন ৩০ যাবৎ চর পাঙ্গাশিয়া মৌজায় বসবাস করে আসছেন। কিন্তু হঠাৎ করে লালমিয়া বারই সেলিম হাওলাদারের বসত বাড়িতে গিয়ে গাছ কাটলে এবং পিলার গারতে চাইলে সেলিম হাওলাদার বাধা দেয়। এ সময় তাকে বেদম মারধর করেছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।

ভুক্তভোগী সেলিম হাওলাদার বলেন, আমি একজন দিনমজুর। কিন্তু লালমিয়া বারইরা স্থানীয় প্রভাবশালী বলে আমার বাড়িতে এসে জোড় পূর্বক জমি দখল করার পায়তারা করছে। আমাকে একাধিকবার বাড়িতে এসে মারধর করেছে।

গত ৬ মাস পূর্বে আমার ঘর থেকে বের হওয়া দরজাটি লালমিয়া বারইরা কাটা তার দিয়ে বেরা দিয়ে আমার যাতায়াতের পথটি বন্ধ করে দেয় এবং দরজায় লালমিয়া বরাইরা সৃষ্টি গাছের চারা রোপন করে। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে এবং আমার পরিবারকে এই এলাকা ছাড়া করবে বলে হুমকি প্রদান করে।

আমি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে একাধিকবার জানালেও কোন সমাধান পাইনি এ কথা জানালেন ভুক্তভোগী সেলিম হাওলাদার ।
এদিকে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সেলিম হাওলাদারের ঘরের এক পাশে খাল, দুই পাশে নালা সামনেই ছিল বের হওয়ার একমাত্র পথ। আর ঐ পথটি কাটা তারের বেড়া দিয়ে আটকিয়ে রাখা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একজন দিন মজুরের বসত বাড়িতে গিয়ে অত্যাচার, নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে লালমিয়া বাহিনী। নিজেকে আওয়ামী লীগ নেতা দাবি করে তৈরি করেছেন একটি ভূমিদস্যু বাহিনী।

স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, আওয়ামী লীগের সুনাম নষ্ট করার জন্যই এই ধরনের অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে লালমিয়া বারই। পশ্চিম ইলিশায় এমন কেন অপকর্মনেই যেখানে লালমিয়া বারইর হাত নেই। স্থানীয় ও ভুক্তভোগি পরিবারের দাবি অতি দ্রুত লালমিয়া বারইকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি ও কাটাতারের বেড়াটি উঠিয়ে ফেলার জন্য প্রশাসন ও ভোলার জনপ্রতিনিধিদের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

এব্যাপারে অভিযুক্ত লালমিয়া বারাই সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুল খালেক মিয়া জানান, আমরা একাধিক বার ফয়সালায় বসেছি। কিন্তু কোন সমাধানে আসেনি লালমিয়া বারাই, কারো পথের রাস্তা আটকানোর এখতিয়ার নেই বলে জানান তিনি।

এব্যাপারে পশ্চিম ইলিশা ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, লালমিয়া বারাইকে আমি আমার পরিষদে এনে একাধিক বার শাসিয়ে দিয়েছি।

ad

পাঠকের মতামত