179738

নাসিরদের টানা তৃতীয় জয়

লুক রাইট যতোক্ষণ ছিলেন মনে হচ্ছিল হলেও হতে পারে। কিন্তু সামনে যে রানের পাহাড়! ২০৬ রানের টার্গেট রাজশাহী কিংসকে দিয়েছিল ইনফর্ম সিলেট সিক্সার্স। দারুণ শুরুর পর টানা ৪ উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে গেলো রাজশাহী। এরপর রাইটকে ফিরিয়ে ম্যাচটাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসেন সিলেটের বোলাররা। মঙ্গলবার তাতে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিল নাসির হোসেনের দল। ড্যারেন স্যামির রাজশাহী হারল টানা দ্বিতীয় ম্যাচ। হারটা ৩৩ রানের।
.
এটা বিপিএলের ষষ্ঠ ম্যাচ। এবং নাসিরদের তৃতীয়। আর সবার চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার সাথে সবদিক দিয়েই এই দলটি এগিয়ে। দারুণ ওপেনিং জুটি, পরেও তাই। আর তাতে ৬ উইকেটে ২০৫ সিলেট সিক্সার্সের। এবারের বিপিএলের দলগত সর্বোচ্চটা এখন হোমটিমের। সেই পাহাড় গড়পড়তার রাজশাহীর পক্ষে পার হওয়া সম্ভব হয়নি। ৮ উইকেটে ১৭২ রানে থামতে হয়েছে তাদের।
এতো বড় রান তাড়াতে লুক রাইট (৫৬) ও মুমিনুল হক (২৪) চমৎকার শুরু এনে দিয়েছিলেন। ৫ ওভারের মধ্যে ৫০ এর কাছে। কিন্তু ষষ্ঠ ওভারেই লিয়াম প্লানকেট জোড়া আঘাত হানেন। মুমিনুলের পথ ধরে ০ রানে ফেরেন রনি তালুকদারও। এরপর আরো দুই উইকেট পড়ে। মুশফিকুর রহীম ১১ মাত্র। ৭৯ রানে ৪ উইকেট হারানো রাজশাহী তবু স্বপ্ন দেখছিল রাইট ও জেমস ফ্র্যাঙ্কলিনের ব্যাটে। ১৩৩ পর্যন্ত তারা দলকে নিলেন। ওই ১৫তম ওভারে কামরুল ইসলাম রাব্বির শিকার রাইট। স্যামি এলেন বটে। কিন্তু তার সাথে ভুল বোঝাবুঝিতে এবং প্লানকেটের উপস্থিত বুদ্ধিতে রান আউট ফ্র্যাঙ্কলিন (৩৫)। আর আশা থাকে না রাজশাহীর।
তার আগে নাসিরদের ব্যাটিংটায় চোখ রাখা যাক। টস হেরে ব্যাটিংয়ে। প্রথম ১১ ওভারের মধ্যেই ১০০ রান। আবার শেষ ৫ ওভারে ৭০। টানা তৃতীয় জয়ের কাজটা ওখানেই এগিয়ে রাখে দুরন্ত দল সিলেট। প্রথমবার টুর্নামেন্টে খেলতে এসেই প্রথম দুই ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা ডায়নামাইটস এবং সাবেক চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে হারিয়েছে তারা। তাতে বড় ভূমিকা ছিল তাদের দুই ওপেনারের জুটির। রান তাড়া করতে নেমে ঢাকার বিপক্ষে ১২৫ এবং কুমিল্লার বিপক্ষে ৭৩ রানের জুটি গড়েছিলেন উপুল থারাঙ্গা ও আন্দ্রে ফ্লেচার। এবার তারা গড়েছেন ১০১ রানের জুটি। ফ্লেচার নিজের দ্বিতীয় ফিফটিটা মিস করলেও লঙ্কান থারাঙ্গা ঠিকই টানা তৃতীয় ফিফটি তুলে নিয়েছেন। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মঙ্গলবারের দ্বিতীয় ম্যাচে থারাঙ্গার ব্যাট থেকে ৩৭ বলে এসেছে ৫০ রান। ১টি ছক্কা ও ৫টি বাউন্ডারি তার। আর ফ্লেচার ৩০ বলে ৫ চার ও ৩ ছক্কায় দিয়ে গিয়েছিলেন ৪৮ রান।
এই দুই চার রানের মধ্যে ফিরে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে এবারের আসরে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা আরেক শ্রীলঙ্কার দানুশকা গুনাথিলাকা টেনে নিয়ে গেলেন। সাব্বির রহমান মাত্র ১৬ রানে আউট। কিন্তু অন্য প্রান্তে এরপর আরো উইকেট পড়লেও গুনাথিলাকা তাণ্ডব চালিয়েছেন এক প্রান্ত থেকে। ২২ বলে ৩ ছক্কা ও ২ চারে ৪২ রান করেছেন। ৫ নম্বরে নেমে ইংলিশ রস হুইটলিও কম যাননি। ১২ বলে ৩ ছক্কা ও ১ চারে ২৫ রানে অপরাজিত তিনি। এসব মারমার কাটকাট ব্যাটিং দেখে অধিনায়ক নাসির হোসেন ব্যাটই করতে নামেননি! তাতে কি? এতো রান করে সিলেটের মতো দল হারে নাকি!

ad

পাঠকের মতামত