173905

পরকীয়া প্রেমিকের বাড়িতে বিজিবি সদস্যের স্ত্রীর অনশন

প্রেমের টানে ৪ বছরের সন্তান ও স্বামীকে ফেলে অপর বিবাহিত প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার আশায় গত দুদিন ধরে অনশন করছেন এক বিজিবি সদস্যের স্ত্রী। রাজারহাট উপজেলার সদর ইউপির বোতলারপাড় গ্রামে এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শাহানাজ বেগম নামের ওই নারী রাজারহাট উপজেলার সদর ইউপির বোতলারপাড় গ্রামের ইউছুফ আলীর ছেলে বিজিবির সদস্য হাফিজুর রহমানের স্ত্রী।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,শাহানাজ বেগমের সঙ্গে পার্শ্ববর্তী মৎস্য খামারি উমর ফারুক মণ্ডলের ছেলে এক সন্তানের জনক ফখরুল ইসলাম বাবুর (২৬) সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া চলে আসছিল। গত রোববার রাতে শাহানাজ বেগমের ঘরে বাবু রাতযাপন শেষে বের হয়ে আসার সময় প্রেমিকা শাহানাজ তাকে বিয়ে করার চাপ দেন।

এতে সে কৌশলে সটকে পড়ার চেষ্টা করলে শাহানাজ বেগম তার প্রেমিক বাবুর হাত ধরে সন্তানকে ফেলে স্বামীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। একপর্যায়ে ফখরুল শাহানাজকে নিয়ে তার বাবার মৎস্য খামারের কেয়ারটেকার নুরুর বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে উভয় পরিবারের মধ্যে হতাশা নেমে আসে।

এদিকে রোববার দুপুরে রাজারহাট থানার ওসি পলাশচন্দ্র দেব একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে এলাকাবাসী ও প্রেমিক যুগলের বিয়ের প্রস্তাব দিলে পুলিশ চলে আসে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পরে রোববার দিবাগত রাতে প্রেমিক ফখরুল ইসলাম বাবু শাহানাজ বেগমকে রেখে পালিয়ে যায়।

শাহানাজ বেগম জানান, বাবু আমাকে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক করে আসছে। সে যেখানেই যাক, আমি তাকে বিয়ে করেই ছাড়ব। এছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই।

শাহানাজ বেগমের স্বামী বিজিবি সদস্য মো. হাফিজুর রহমানের মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে শাহানাজ বেগমের আর কোনো সম্পর্ক নেই। সে যেখানে গেছে সেখানেই সে থাকবে।

এদিকে শাহানাজ বেগমের পরকীয়ার বিষয়টি স্বামী ও তার পরিবারের লোকজন টের পেলে স্বামীর চাপে ফখরুল ইসলাম বাবুর বিরুদ্ধে শাহানাজ বেগম তাকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ এনে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।

সম্প্রতি পুলিশ প্রেমিক বাবুকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ১৫ হাজার টাকা জরিমানাসহ মুচলেকা নিয়ে বাবুকে ছেড়ে দেন।

সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রেমিকা শাহানাজ বেগম তার প্রেমিকের বাবার মৎস্য খামারের কেয়ারটেকার নুরুর বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।

ad

পাঠকের মতামত