আফগানদের বিপক্ষে ২ উইকেটের জয়, সিরিজ নিশ্চিত করল বাংলাদেশ
প্রথম ম্যাচের মতোই চাপে পড়ে যেতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। তবে জাকের-শামীমের জুটি এবং শেষ দিকে সোহানের বীরত্বে সেই চাপ কাটিয়ে ২ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশের।
প্রথম ম্যাচে শতরানের বেশি এনে দিয়েছিলেন তানজিদ-ইমনের উদ্বোধনী জুটি। আজ সেটি হয়নি। দলের ৩ রানের সময়ই ফিরে যান তানজিদ তামিম। আর ১৬ রানের সময় থামেন পারভেজ ইমন। দুজনকেই থামান আজমতউল্লাহ ওমরজাই। আগের ম্যাচে শূন্য রানের পর এ ম্যাচে ১৪ বলে ১৮ রান করেন সাইফ হাসান। এর পর ৫৬ রানের জুটিতে দলের হাল ধরেন জাকের আলী ও শামীম পাটোয়ারী। জাকের করেন ২৫ বলে ৩০ রান। শামীম আউট হওয়ার আগে খেলেন ২২ বলে ৩৩ রানের ইনিংস।
এর পর ৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই চাপ কাটিয়ে দলকে আবারও জেতান নুরুল হাসান সোহান। ৩ ছক্কায় ২১ বলে ৩১ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২ চারে শেষ দিকে শরিফুল রাখেন ৬ বলে ১১ রানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ নিশ্চিত করতে শেষ ৩ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৬ রান। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে নেন। ১২ বলে দরকার ১৯। তবে নুরুল হাসান সোহান টিকে ছিলেন বলেই আশা ছিল বাংলাদেশের।
নুর আহমেদের করা ১৯তম ওভারের প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান নুরুল হাসান। পরের বলে নেন এক রান। শরিফুল বল মিস করলেও সেটি হোয়াইড হয়, সঙ্গে দৌড়ে আর ২ রান। চতুর্থ বলে ২ রান নেন শরিফুল। পঞ্চম বলে হাঁকান চার। শেষ বলেও এক রান নিয়ে পরের ওভারও মোকাবেলা করতে যান শরিফুল। ২০তম ওভারের প্রথম বলে চার হাঁকিয়ে জয় নিশ্চিত করেন শরিফুল। তাতে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজও নিশ্চিত করেছেন সোহান। ম্যাচে আজমত ৪টি ও রশিদ ২টি উইকেট শিকার করেন।
এর আগে টস জিতে আফগানিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান অধিনায়ক জাকের। ২০ ওভারে তারা তুলেছিল ৫ উইকেটে ১৪৭ রান। আফগানরা পাওয়ার প্লেতে খুব বেশি রান তুলতে পারেনি। ৬ ওভারে ৩৫ রান করে। ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ তুলে দেন ইব্রাহিম জাদরান, তবে তিনি হাতে জমাতে না পারায় উইকেট পাওয়া হয়নি মোস্তাফিজের। ওপেনিং জুটিতে ওঠে ৫৫ রান। রিশাদ হোসেনের বলে লং অনে পারভেজের হাতে ক্যাচ দেন সেদিকউল্লাহ অতল। ২৩ রান করেন তিনি। ১০ ওভারে ৬৯ রান তোলে আফগানিস্তান। জাদরান ফেরেন দলীয় ৭১ ও নিজের ৩৮ রানে। অভিষিক্ত ব্যাটসম্যান ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল ১ রানেই থামেন।
আফগানরা দলীয় ১০০ ছোঁয় ১৫তম ওভারে। শেষ ৫ ওভারে আফগানিস্তান তোলে ৪১ রান। আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১৭ বলে ১৯ ও মোহাম্মদ নবি ১২ বলে ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। নাসুম ২৫ রানে এবং রিশাদ ৪৫ রানে ২ উইকেট নেন। একাদশে ফেরা সাইফউদ্দিন ৪ ওভারে ২২ রান দিয়ে উইকেট পাননি। শরিফুল ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে নেন ১ উইকেট।










