ভিপি নুরের স্ত্রী মারিয়া নুরের অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক।। দুই দফা রিমান্ডে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর অমানবিক নি,র্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী মারিয়া নুর। তিনি বলেছেন, ‘নুরকে হাত-পা বেঁধে ঝুলিয়ে ইনজেকশন এবং ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়েছে।’
শনিবার (২৭ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ভুক্তভোগী পরিবারের উদ্যোগে ‘নুরুল হক নুরসহ আটকদের মুক্তি, রিমান্ডে নির্যাতন বন্ধ ও চিকিৎসার দাবিতে’ সংবাদ সম্মেলনে মারিয়া নুর এ অভিযোগ করেন।
আদালতের কাছে বারবার অনুরোধ করার পরও নুরের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাননি বলে জানান মারিয়া। তিনি বলেন, ‘নুর তাকে জানিয়েছেন, রিমান্ডের পাঁচদিন তার ওপর ভয়ঙ্কর অত্যাচার করা হয়েছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে মারিয়া বলেন, ‘নুরের পা দুটি ওপরের দিকে ঝুলিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে। তাকে ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়েছে। তার শরীরে ইনজেকশন পুশ করা হয়েছে। একে স্লো পয়জনিং বলে সন্দেহ তাদের। নির্যাতনের যন্ত্রণা সহ্য করতে না পেরে নুর তিন থেকে চারবার অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর কী হয়েছে তা বলতে পারেননি ডাকসুর সাবেক ভিপি।’
তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী যেন চিকিৎসাটা পায়। তার ওপর আর যেন শারীরিক নির্যাতন করা না হয়। আমাদের চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমার স্বামীকে আমি রাজনীতি করতে দেব না; শুধু তাকে আমাদের কাছে ফেরত দিন।’
দুই দফা রিমান্ডের তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয় দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে গত শুক্রবার যখন তাকে কোর্টে তোলা হয়, সে এক বিমর্ষ চিত্র। ও তো কোনো চোর-ডাকাত বা খুনি নয়, ও তো কোনো জঙ্গি নয়, ও তো কোনো অন্যায় করেনি, ও তো কোনো অপরাধ করেনি, ও তো কোনো ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত না। ও ডাকসুর সাবেক ভিপি। আগে ছাত্র আন্দোলন করেছে। সেজন্য ছাত্রদের নিয়ে কথা বলেছেন এবং তাদের আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়েছেন। এ অধিকার তো সংবিধানে আছে।’
মারিয়া আরও বলেন, ‘রিমান্ডে তার কাছ থেকে বাববার স্বীকারোক্তি নেয়ার চেষ্টা করছে। নির্যাতনের কারণে তিনি হেঁটে আদালত কক্ষে যেতে পারেননি। পুলিশের কাঁধে ভর দিয়ে তারপর আদালতে ওঠেন।’
তিনি বলেন, ‘রিমান্ডে জানতে চাওয়া হয়, ও নির্বাচনে যায়নি কেন? ও কেন বিভিন্ন দূতাবাসে যায়?’
এ সময় সংবাদ সম্মেলনে নুরের বাবা ইদ্রিস হাওলাদার, মেয়ে তাসমিয়া নুর, বোন জেসমিন, গণঅধিকার পরিষদের উচ্চ পরিষদ সদস্য আবু হানিফের বোন নিলুফা এবং দলের প্রচার সম্পাদক শহীদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। উৎস: সময়টিভি