মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বয়স ৩০ পার, কাজেই মেধায় নিয়োগ ৯৮ শতাংশ : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন আমরা মুক্তিযোদ্ধা, আমাদের ছেলে-মেয়েদের বয়স ৩০ বছর পার হয়ে গেছে। কাজেই মুক্তিযোদ্ধাদের কোনো কোটা এখন নেই। এখন ৯৮ ভাগই হলো মেধা।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে বগুড়া জেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এর আগে গত কয়েকদিনের সহিংসতায় বগুড়ার ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা পরিদর্শন করেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রায়ের পর আমরা মনে করেছিলাম এই কোটা আন্দোলনকারীরা মহামান্য বিচারপতি ও সরকারকে ধন্যবাদ দিয়ে বলবে-আমরা সন্তুষ্ট, আমরা আন্দোলন থেকে ফিরে গেলাম। কিন্তু ইতিমধ্যে অনেক জল গড়িয়েছে।
আপনারা দেখেছেন এই কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে যারা বাংলাদেশ চায়নি, যারা জ.ঙ্গির উত্থান ঘটিয়েছিল; সেই দলগুলো- যারা সবসময়ই বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশে পরিচিত করতে চেয়েছিল; সেই সব দল একত্র হয়ে ধ্বংসলীলা চালিয়েছে।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সেই ধ্বংসলীলা থেকে বগুড়াও বাদ যায়নি। বগুড়ায় আমরা দেখলাম মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ধ্বংস করে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ এখানে মুক্তিযোদ্ধারা এই ইস্যুতে মাঠেই নামেনি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালির ম্যুরালের ওপরে তাদের রাগ-ক্ষোভ।
যারা দেশ চায়নি, যারা স্বাধীনতা চায়নি তাদেরই এমন রাগ-ক্ষোভ থাকার কথা; আমরা সেটাই লক্ষ্য করেছি। আওয়ামী লীগ অফিস, জাসদের অফিস, থানা ভবন, ভূমি অফিস, জাজেস কমপ্লেক্সে ভাঙচুর দেখলাম।
তিনি বলেন, ছাত্র ভাইদের জানাতে চাই- যেহেতু সব দাবি মানা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন আপনাদের বাকি দাবিগুলো পর্যায়ক্রমে বিবেচনা করবেন এবং ব্যবস্থা নিবেন। ইতোমধ্যেই একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়েছে। তারা নিরপেক্ষভাবে ঘটনাগুলো তদন্ত করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ইতিমধ্যে তিনজন পুলিশ, একজন আনসার সদস্য শাহাদত বরণ করেছেন। শুধু যে রংপুরে একজন ছাত্র শাহাদত বরণ করেছে তাই নয়, আমাদের অনেক নেতাকর্মী, আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মী শাহাদত বরণ করেছেন। যেখানেই আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ সেখানেই তারা আক্রমণ করেছে। এটাই ছিল তাদের পরিকল্পনা।
কারফিউ কতোদিন থাকবে এমন প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরের ঘটনা মোকাবেলায় সান্ধ্য আইন জারি করা হয়েছে। ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। খুব শীঘ্রই সকলের সহযোগিতায় আমরা স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবো।
সহিংসতায় দুই সাংবাদিক নিহত ও এক নারী সাংবাদিককে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ নিয়ে সাংবাদিকদের সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী।