পরিচয় জানা গেছে সং.ঘর্ষের সময় নি.হত এক জবি শিক্ষার্থীর
নিউজ ডেস্ক।। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় মিরপুর গোলচত্বরের সংঘর্ষে গত শুক্রবার গুলিবিদ্ধ হয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আহসান হাবিব তামিম নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজির অনুসারী ছিলেন তামিম।
বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই দুপুরে গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকালে নিহত তামিমের বাবার সাথে আমার কথা হয়েছে। তিনি নিজেই মৃত্যুর বিষয়টি আমাকে নিশ্চিত করেছেন।
নিহত তামিমের বাবার বরাত দিয়ে তিনি আরও জানান, গত শুক্রবার ১৯ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে তামিম মিরপুরের বাসা থেকে বের হয়ে গোলচত্বর এলাকার দিকে যায়। এর কিছুক্ষণ পরই তামিমের বাবার মোবাইলে একটি ফোন আসে, জানানো হয় তামিম গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এই খবর শুমে তামিমের বাবা গোলচত্বর এলাকায় যান। সেখানে লোকজন তাকে আল হেলাল হাসপাতালে যেতে বলেন। আল হেলাল হাসপাতালে গেলে সেখান থেকে তামিমের বাবাকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে বলা হয়। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে গেলে সেখানে তামিমের গুলিবিদ্ধ মরদেহ দেখতে পান তার বাবা।
তিনি আরও জানান, এরপর তামিমের পরিবারের লোকজন তার মরদেহ নিয়ে নোয়াখালীর চাটখিলে তার গ্রামের বাসায় যান। সেখানে পরদিন শনিবার ২০ জুলাই সকাল ৮ টার দিকে জানাজা শেষে তামিমের মরদেহ দাফন করা হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, তামিমের পরিবার অনেকটা নিম্ন আয়ের পরিবার। তিন সন্তানের মধ্যে তামিম দ্বিতীয় সন্তান ছিল। তার বড় ভাই বাবার সাথেই মেকানিকের কাজ করে। আগামী রবিবার বিভাগে সবার সাথে মিটিং করে তার পরিবারকে কোনো সহযোগিতা করা যায় কিনা সেটি নিয়ে কথা বলবো। অকালেই এমন একজন মেধাবী শিক্ষার্থীর প্রাণ ঝরে যাওয়া কখনোই কাম্য নয়। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, গত শুক্রবার রাতেই তামিমের বিষয়ে এক পথচারী আমাকে ফোন করে জানিয়েছিলো। কিন্তু বিভাগে সেদিন খোঁজ করে তার বিষয়ে জানা যায় নি। আজ সকালে ওর মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হলাম।
এ বিষয়ে কথা বলতে তামিমের বাবাকে একাধিক বার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি। উৎস: চ্যানেলআই অনলাইন।