363645

ডি আই আই টি এর বিবিএ বিভাগের ২২তম বর্ষপূর্তি উদযাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক।। বর্নিল আয়োজনের মধ্য দিয়ে ডিআইআইটি এর বিবিএ বিভাগের ২২তম বর্ষপূর্তি উদযাপন হল। বর্ণাঢ্য আনন্দ র্যালি, বেলুন উড়ানো, কেক কাটা ও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। ৩০শে জানুয়ারি ২০২৩, সোমবার ড্যাফোডিল টাওয়ার-৫ এর ৭১ মিলনায়তনে বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়।

অনুষ্ঠানটিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান, বিশেষ অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ড. মোঃ মাহমুদুল হাসান এবং অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ডি আই আই টির অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে বিবিএ বিভাগের প্রধান লক্ষন চন্দ্র রবিদাস ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বিবিএর ২২ বছরের গৌরবজ্জল ইতিহাস তুলে ধরেন এবং শিক্ষার্থীদের বিগত বছরগুলোর ফলাফল তুলে ধরার মাধ্যমে তাদের উৎসাহ প্রদান করেন।
অনুষ্ঠানটিতে আরও বক্তব্য দিয়েছেন বিবিএ বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক মোঃ মোকাররম হোসেন। তিনি তার প্রানোচ্ছল বক্তব্যের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের অনুপ্রেরনা প্রদান করেন এবং উচ্ছসিত করেন।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ড্যাফডিল ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের অধ্যক্ষ ড. মোঃ মাহমুদুল হাসান। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন যে নেতৃত্বের গুণাবলী থাকলে দেশ ও জাতির জন্য সাফল্য আনা সম্ভব এবং সততা, নৈতিক মূল্যবোধ ও সুনাগরিক হওয়ার মাধ্যমে এই নেতৃতের গুণাবলী অর্জন করা সম্ভব। প্রধান অতিথি ড্যাফোডিল পরিবারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নুরুজ্জামান স্যার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে ডিআইআইটি এর ইতিবৃত্তি বর্ণনা করেন এবং ছাত্র-ছাত্রীদের ফোকাস থাকতে বলেন।

এ সময়ে তিনি বলেন ডিআআইটি ড্যাফোডিল পরিবারের প্রথম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করে এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ১৯৯৯ সালে অধিভুক্তি পায়। অনুষ্ঠানটির সভাপতি ডিআইআইটির অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন শিক্ষার্থী যে বিভাগেরই হোক না কেন সকল ক্ষেত্রে সফল হওয়া সম্ভব যদি তার ইচ্ছা পূরন ও নিজেকে প্রমান করার দৃঢ়তা থাকে। অনুষ্ঠানে বিবিএর অ্যালামনাইগণ তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে স্মৃতিচারণ করেন।

এছাড়াও বিবিএ বিভাগে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজনেস ডেভলপমেন্ট এন্ড ইনোভেশন সেন্টারের অধীনে ৫টি ভিন্ন ক্লাবের উদ্বোধন করা হয়। কেক কাটা ও বেলুন উড্ডয়নের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানটির আনুষ্ঠানিক পর্বের সমাপ্তি ঘটে।
আনুষ্ঠানিক পর্ব শেষে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিবিএর শিক্ষার্থীরা। বিবিএ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ ও শিক্ষার্থীগণের হাস্যরস, কুইজ প্রতিযোগিতা, গল্প, কৌতুক, গান-বাজনা ও স্মৃতিচারণের মধ্য দিয়ে দিনটি আবেগঘন ও মধুময়তার সাথে অতিবাহিত হয়।

ad

পাঠকের মতামত