কারফিউ শিথিলে চিরচেনা রূপে ঢাকা
নিউজ ডেস্ক।। ভয় আর আতঙ্কের পরিবেশ কাটিয়ে স্বরূপে ফিরতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা। কারফিউ শিথিল আর নির্দিষ্ট সময়ের জন্য অফিস খোলায় সড়কে বেড়ে গেছে কর্মজীবী মানুষ আর যানবাহনের চাপ। এদিকে, যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ ও নাশকতাকারীদের হামলায় মেট্রোরেল আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কিছু সড়কে দেখা যাচ্ছে ভয়াবহ যানজট। তবে, ধীরে ধীরে জীবনযাত্রা পরিপূর্ণ স্বাভাবিক হবে — এমনটাই প্রত্যাশা নগরবাসীর।
টানা কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর অফিস-আদালত খুলে দেয়ায় ঢাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে। বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে মোহাম্মদপুর থেকে ছবিটি তুলেছেন সামশুল আরেফিন।
টানা কয়েকদিন বন্ধ থাকার পর অফিস-আদালত খুলে দেয়ায় ঢাকায় তীব্র যানজট দেখা গেছে। বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে
মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও সুনসান নীরবতায় আচ্ছন্ন ছিলো যে শহর, সে শহরজুড়ে এখন রাজ্যের ব্যস্ততা। গাড়ির হুইসেল-হর্ন আর গণমানুষের কোলাহলে মুখর চারপাশ। মনে হয় যেনো টানা কয়েকদিনের ঘুম শেষে আড়মোড়া ভাঙলো প্রিয় নগরী।
বুধবার সকাল ৯টা থেকেই সড়কে বাড়তে থাকে মানুষের উপস্থিতি। সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলায় জীবন-জীবিকার টানে ঘরবন্দি জীবন ছেড়ে কর্মস্থলে ছুটতে থাকেন অনেকেই। সেই সঙ্গে বাড়ে যানবাহনের সংখ্যাও। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্যসব স্বাভাবিক দিনের মতোই স্বরূপে ফিরতে শুরু করে রাজধানী।
এদিকে, পরিস্থিতি সামাল দিতে কিছু সড়কে যানচলাচল নিয়ন্ত্রণ করায় ও নাশকতাকারীদের হামলায় উড়ালপথ, মেট্রোরেল আর এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সড়কপথে তৈরি হয় ভয়াবহ যানজট। রাজধানীর বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কারওয়ান বাজর, পান্থপথ, শাহবাগ, মৎস্য ভবন ও শাপলা চত্বরে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে দেখা যান যানবাহন।
প্রধান সড়কের বাইরে অলিগলিও মুক্ত ছিলো না ভয়াবহ এ যানজট থেকে। অফিসের উদ্দেশে নেমে অনেককেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে থাকতে হয় সড়কে।
তবে, টানা কয়েক দিনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি কাটিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে বুক ভরে নিশ্বাস নেন রাজধানীবাসী। অফিস খোলার পাশাপাশি যান চলাচল অনেকটা স্বাভাবিক হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেন তারা।
নাশকতাকারীদের আগুনে মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ব্যবহারকারীরা। নাশকতার আগুন থেকে ট্রাফিক পুলিশ বক্স বাদ না গেলেও থেমে যাননি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। যানজটমুক্তকরণ আর সড়কে নামা মানুষের সেবায় ব্যস্ত দেখা যায় তাদের।
এদিকে, কারফিউ পরিস্থিতি অনেকটা শিথিল হওয়ায় মহাসড়কে স্বাভাবিক হয়েছে দূরপাল্লার যানবাহনের চলাচলও। সকাল থেকে রাজধানীতে আসা-যাওয়া করছে পণ্যবাহী ট্রাক, পিকআপ ও যাত্রীবাহী বাস। সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক অবস্থানে আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী।
সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে আগামীকালও (বৃহস্পতিবার) বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চালু থাকবে সরকারি ও বেসরকারি অফিস। অন্যদিকে, কারফিউও শিথিল থাকবে সকাল ১০টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। উৎস: সময়টিভি