363459

শাশুড়িকে পালিয়ে বিয়ে, ৯ বছর পর গ্রেপ্তার

নিউজ ডেস্ক।। বিয়ের বছর যেতে না যেতেই শাশুড়িকে নিয়ে পালিয়ে ছিলেন মেয়ের জামাই। এ ঘটনার শ্বশুর মতি মিয়ার দায়ের করা মামলায় রায়ের ৯ বছর পর সাজাপ্রাপ্ত আসামি আয়াতুল ইসলামকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানা-পুলিশ। তিনি দেড় বছরের সাজায় ৯ বছর ধরে পালিয়ে ছিলেন।

আজ সোমবার দুপুরে গ্রেপ্তার আয়াতুলকে আদালতে পাঠায় পুলিশ। এর আগে, গতকাল রোববার রাত ৯টার দিকে তাকে জেলার আটপাড়া থানা পুলিশের সহায়তায় কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আয়াতুল মোহনগঞ্জের সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের মেদিপাথরখাটা গ্রামের শাহ জামালের ছেলে। তিন মাসের মতো সংসার শেষে শাশুড়ি নাসরিনের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় আয়াতুলের। আয়াতুল ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকরি করেন। পরে কৃষ্ণপুর গ্রামে নতুন বউকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন। প্রথম স্ত্রী মরিয়ম (নাসরিনের মেয়ে) বর্তমানে দেশের বাইরে থাকেন বলে জানা গেছে।

মোহনগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মমতাজ উদ্দিন জানান, গোপন তথ্যে জানাতে পারি আয়াতুল ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে চাকরি করেন ও আটপাড়ার কৃষ্ণপুর গ্রামে নতুন বউকে নিয়ে সেখানে বসবাস করেন। গত রোববার রাত ৯টার দিকে এএসআই এমরুল রশিদসহ আটপাড়া থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। তিনি দেড় বছরের সাজায় ৯ বছর পালিয়ে ছিলেন।

তিনি আরো জানান, ২০১০ সালের দিকে আয়াতুল তাদের গ্রামে মতি মিয়ার মেয়ে মরিয়মকে বিয়ে করেন। বিয়ের একবছর যেতে না যেতেই তার শাশুড়ি নাসরিনকে নিয়ে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় মতি মিয়া ২০১১ সালে দায়ের করা মামলায় ২০১৩ সালে আয়াতুলকে দেড় বছরের কারাদণ্ড ও একই সঙ্গে দুই হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের সাজা দেন আদালত।

এ তথ্য নিশ্চিত করে মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে আজ সোমবার দুপুরের দিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

 

ad

পাঠকের মতামত