363456

পুকুরে বাসর ঘর, বিব্রত নয় নবদম্পতি

নিউজ ডেস্ক।। শখের কোনো শেষ নেই মানুষের জীবনে। শেরপুর সদর উপজেলার চরশেরপুর ইউনিয়নের সাতানীপাড়া এলাকার বাসিন্দা হালিম মিয়ার (২৫) ইচ্ছে ছিল বিয়েতে ব্যতিক্রম কিছু করার। আর এই শখ পূরণ করেই এলাকায় হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন তিনি। গত শুক্রবার নববধূ মেঘলাকে নিয়ে পুকুরে তৈরি বাসর ঘরে ওঠেন হালিম। এরপর থেকেই পুকুরের ওপর তৈরি বাসর ঘরের কথা চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই এলাকার আবদুল হামিদের নয় ছেলে-মেয়ের মধ্যে সবার ছোট হালিম। তিনি পেশায় একটি ওয়ার্কশপের ঝালাই শ্রমিক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পুকুরে বাসর ঘর তৈরির বিষয়টি ভাইরাল হতেই বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন ঘরটি দেখতে ভিড় জমায়। তবে মানুষের ভিড় নবদম্পতিকে বিব্রত করেনি। তারা আনন্দই পাচ্ছেন বেশি।

এ বিষয়ে বর হালিম বলেন, ‘জীবনে ইচ্ছা ছিল ব্যতিক্রম কিছু করার। বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক হওয়ার পর নানা আর চাচার সঙ্গে আলাপ করে বাড়ির পাশের পুকুরে বাসর ঘর করার পরিকল্পনা করি। চার-পাঁচ দিন ধরে খুব কষ্ট করে বাসর ঘর তৈরি করা হয়েছে।’

হালিমের ভাতিজা রূপন ফরাজি ও সোহেল সরকার বলেন, চাচার ইচ্ছার কথা জেনে আমরা পারিবারিকভাবে বসে সিদ্ধান্ত নিই কী করা যায়। একপর্যায়ে সিদ্ধান্ত হয় পানির ওপরে বাসর ঘর করার। বানানোর সময় অনেকে আজেবাজে কথা বলেছে। তবে তৈরি হওয়ার পর বাসর ঘর দেখতে মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করে। এখন অনেকেই দেখতে আসছেন, ফেসবুক-ইউটিউবে প্রচার হচ্ছে। এতে আমাদের বেশ ভালো লাগছে।

যোগিনীমুড়া থেকে বাসর ঘর দেখতে আসা সোহেল রানা বলেন, ‘এর আগে আমার জীবনে এমন বাসর ঘর দেখিনি। এক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পেরে দেখতে এসেছি। আসলেই ব্যতিক্রম এটি।’

চরশেরপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে এমন বিয়ে হওয়ায় মানুষের মাঝে এ নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। বলা যায় ‘টক অব দ্য ভিলেজ’। আমি আপ্লুত পানির ওপর এমন বাসর ঘর দেখে।’

 

ad

পাঠকের মতামত