362484

প্রেম করে বিয়ে, ৫ মাস পর পরকীয়ার জেরে খুন

নিউজ ডেস্ক।। রাজধানীর ডেমরায় প্রেম করে বিয়ের ৫ মাস পর পরকীয়া সন্দেহে চাম্পা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ একটি হাসপাতালে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় স্বামী। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেফতার মো. মামুন (২৪) ও তার স্ত্রী উভয়ে চুক্তিভিত্তিক কাজ করা গার্মেন্টকর্মী ছিলেন। রোববার মামুনকে আদালতে পাঠায় ডেমরা থানা পুলিশ। শনিবার নাটোরের সিংড়া থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

এ ঘটনায় নিহতের বাবা মো. হযরত সরদার মামুনের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মামলা করেন। গত বুধবার রাত ১১টার দিকে খুন হয় চাম্পা। তারা ডেমরার পূর্ব বক্সনগর মাইনুদ্দীনের বাড়ির ভাড়াটিয়া ছিল। মামুন নাটোরের সিংড়া থানার লাল বানু বেওয়ানা গ্রামের মৃত নূর ইসলামের ছেলে। চাম্পা নওগার আত্রাই থানার আমচন্দ্রবাটি গ্রামের মেয়ে।

মামুনের জবানবন্দির বরাতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডেমরা থানার এসআই মো. ইকবাল জানান, চাম্পা গত ৭-৮ বছর ধরে পরিবারের সঙ্গে থেকে গাজীপুরে একটি কারখানায় কাজ করত। বাবার অমতে প্রেম করে গত ৫ মাস আগে মামুনের সঙ্গে বিয়ের পর তারা ডেমরায় বসবাস শুরু করেন। বিয়ের পর তারা দুজনেই শুকুরশী এলাকায় একটি গার্মেন্টে কাজ শুরু করেন।

এ সময় অন্য একটি ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে চাম্পা। গত ১ মাস আগে এ বিষয়ে মামুন অবগত হলেও প্রথমে বিশ্বাস করেনি। এদিকে গত ১০ দিন আগে চাম্পা বাড়ি যাওয়ার কথা বললে মামুন ২ ঘণ্টা পরে আসবে বলে জানায়। এ অবস্থায় মেয়েটি অন্য একটি ছেলের সঙ্গে অন্যত্র যেতে থাকে; যা কৌশলে মামুন দেখে ফেলে।

এ বিষয়ে গত ১ ডিসেম্বর রাতে রান্নাবান্না শেষ করে তারা পরকীয়ার বিষয়ে আলোচনা শুরু করে। এ সময় বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে মামুন উত্তেজিত হয়ে ক্ষোভে গলায় রশি পেঁচিয়ে চাম্পাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডেমরা থানার ওসি খন্দকার নাসির উদ্দিন।

উল্লেখ্য, গত ১ ডিসেম্বর বুধবার রাত ১২টার দিকে চাম্পাকে অচেতন অবস্থায় একটি রিকশাযোগে হাসপাতালে নিয়ে আসেন মামুন। এ সময় হাসপাতাল থেকে বলা হয় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। এ ঘটনায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা আনার কথা বলে পালিয়ে যায় মামুন। উৎস: যুগান্তর।

 

ad

পাঠকের মতামত