362155

হিলি বন্দরে কেজিতে ১২ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দাম

বন্ধের আগে বন্দরে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৮ থেকে ৫০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩৬ টাকা থেকে ৩৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ব্যবসায়ী মিরাজুল ইসলাম ও সিরাজ উদ্দিন বলেন, আগে দাম বেশি থাকার কারণে আমাদের পুঁজি যেমন বেশি লাগতো তেমনি পেঁয়াজের বেচাকেনাও কমে গিয়েছিল, ছিল লোকসানের আশঙ্কা।

আগে বাড়তি দামে মোকামগুলোতে পেঁয়াজ পাঠানো হয়েছিল সেই পেঁয়াজ গুদামে এখনো মজুত রয়েছে। যার কারণে নতুন করে পেঁয়াজের চাহিদা দিচ্ছে না তারা। তবে এখন দাম কমায় আমাদের বেশ সুবিধা হয়েছে। মনে হয় পেঁয়াজের দাম আরও কমবে।

আমদানিকারক মাহফুজার রহমান ও পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। তবে দাম কমার মূল কারণ হলো যেহেতু সরকার পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে এতে করে কেজি প্রতি ২ টাকার মতো শুল্ক কমেছে। এর ওপর মিয়ানমার থেকে প্রচুর পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে।

বিভিন্ন মোকামে আগের আমদানি করা পেঁয়াজে গুদাম ঠাসা, পূজার বন্ধের মধ্যে বেচাকেনা একেবারেই ছিল না। বিক্রি না থাকায় ও প্রচণ্ড গরমের কারণে পেঁয়াজ পচে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, অনেকে বাধ্য হয়ে কম দামে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এর কারণে মোকামগুলোতে কোন চাহিদা না থাকায় বন্দরে পেঁয়াজের ক্রেতা সংকট দেখা দিয়েছে।

এর ওপর পূজার বন্ধ শেষে সরবরাহ বাড়ায় ও ক্রেতা সংকটের কারণে পেঁয়াজের দাম কমছে। সামনের দিনে নতুন পাতা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে এতে করে দাম আরও কমবে। এ ছাড়া দেশীয় পেঁয়াজের চেয়ে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম সব সময় কেজি প্রতি ১০ টাকার মতো কম থাকে, না হলে এই পেঁয়াজ খাবে না।

হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ৬ দিন বন্ধের পর রবিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পুনরায় আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। রোববার বন্দর দিয়ে ১৭টি ট্রাকে ৪৭৪ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে, যা দ্রততার সঙ্গে খালাস করে আমদানিকারকদের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। তবে আজও বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।

ad

পাঠকের মতামত