360101

মহামারি প্রতিরোধের আমল

ধর্মবার্তা।। জীবনভর দুনিয়ার ঝামেলায় বিভোর হয়ে থাকি আমরা। দুনিয়া থেকে বিমুখ হওয়ার কথা ইসলাম বলে না। ইসলাম বলে দুনিয়ার পাশাপাশি পরকালে পাথেয় সংগ্রহ করতে। আর পরকালের পাথেয় সংগ্রহের বিশেষ সুযোগ আসে বিশেষ কিছু সময়ে।

জীবনভর দুনিয়ার ঝামেলায় বিভোর হয়ে থাকি আমরা। দুনিয়া থেকে বিমুখ হওয়ার কথা ইসলাম বলে না। ইসলাম বলে দুনিয়ার পাশাপাশি পরকালে পাথেয় সংগ্রহ করতে। আর পরকালের পাথেয় সংগ্রহের বিশেষ সুযোগ আসে বিশেষ কিছু সময়ে।

করোনা মাহামারি মুসিবতের আকৃতিতে আমাদের জন্য আল্লাহর মহাপরীক্ষা পাশাপাশি নিজেকে শুধরানোর বিশেষ সুযোগ। চলছে লকডাউন। এ সময় অন্যান্য ব্যস্ততা না থাকায় চাইলে আমরা পুরো সময় আল্লাহর ইবাদতে কাটিয়ে দিতে পারি। এতে আখেরাতের কল্যাণ যেমন মিলবে, তেমনি ব্যাপকভাবে আত্মশুদ্ধি ও আত্মোন্নয়ন সম্ভব হবে।

মাহামারির আমলগুলো-

১. সালাতুল হাজাত আদায় করা : রাসূল (সা.)-এর নির্দেশনা অনুসরণে রোগমুক্তির উদ্দেশ্যে সালাতুল হাজাত আদায় করা। এটি অত্যন্ত উপকারী ও পরীক্ষিত আমল।

২. ‘রাব্বিগ ফিরলি ওয়ার হামনি।’ অর্থ : হে আল্লাহ, আমাকে মাফ করে দিন এবং আমার ওপর অনুগ্রহ করুন। (ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৮৯৪)। বেশি করে এই দোয়া পড়া।

৩. আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল বারাসি, ওয়াল জুনুনি, ওয়াল জুযামি, ওয়ামিন সাইয়্যিইল আসকাম। অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই শ্বেত, উন্মাদনা, কুষ্ঠ এবং সব দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে। (আবু দাউদ, হাদিস : ১৫৫৪)। যথাসম্ভব এ দোয়া পড়া।

৪. ‘বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়া হুয়াস সামিউল আলিম।’ অর্থ : আল্লাহর নামে, যার নামের বরকতে আসমান ও জমিনের কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সবকিছু শোনেন এবং সবকিছু জানেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, এ দোয়া সকালে পাঠ করলে সারা দিন নিরাপদে থাকবে আর বিকালে পাঠ করলে সারা রাত্রি নিরাপদে থাকবে। (আবু দাউদ হাদিস : ৫০৮৬)।

৫. আয়াতুল কুরসি পাঠ করা : রাসূল (সা.) সব বিপদাপদ থেকে নিরাপদ থাকার জন্য সাহাবায়ে কেরামকে আয়াতুল কুরসি তিলাওয়াত করার তাগিদ দিয়েছেন। এটি পাঠ করে নিজের শরীরে ও শিশুদের শরীরে দম করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞ ওলামায়ে কেরাম।

৬. সকাল-বিকাল সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা। সূরা ফাতিহার অন্য নাম দোয়ার সূরা ও শিফার সূরা।

৭. সকাল-বিকাল সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ করে নিজের শরীরে ও শিশুদের শরীরে দম করবে।

মুমনিদের মনে রাখতে হবে, আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, সুতরাং কোনো অকবস্থাতেই হতাশ হওয়ার সুযোগ নেই। হতাশাগ্রস্তরা বিপথগামী। আসুন মানবতার এ ক্রান্তিলগ্নে স্বাস্থ্য কর্মীদের পরামর্শ ও সরকারি নির্দেশনা পালনের পাশাপাশি বেশি বেশি তাওবা-ইস্তেগফারের আমল করি। আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে করোনা নামক এ মহামারি ভাইরাস থেকে হেফাজত করুন! আমিন।

 

ad

পাঠকের মতামত